ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
সংবাদদাতা, সিউড়ি: আহমদপুরে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড ও সব্জি বাজারের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এবার আর প্রতিশ্রুতি নয়। পাকাপাকি সমাধান চাইছেন বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড এবং সব্জি বাজার নির্মাণের দাবি করে আসছেন। কিন্তু ভোট আসে, ভোট যায়, সমস্যা সমাধানের কোনও উদ্যোগ দেখা যায় না বলে অভিযোগ। বীরভূমের সিউড়ি-কীর্ণাহার রাস্তার ওপরে এবং কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার রেলপথের মধ্যস্থলে আহমদপুর। সাঁইথিয়া ব্লকের অধীনে একটি পঞ্চায়েত এই আহমদপুর। কিন্তু জনবসতি এবং প্রতিদিনের জনসমাগমের নিরিখে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আহমদপুর। একদিকে সিউড়ি, দুবরাজপুর ও অন্যদিকে লাভপুর, কীর্ণাহার থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ উত্তরবঙ্গ এবং কলকাতার দিকে ট্রেন ধরতে আহমদপুর রেল স্টেশনকে বেছে নেন। সরকারি ভাবে আহমদপুর এলাকার আশেপাশের ছয়-সাতটি অঞ্চল নিয়ে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। সেই কারণেই এখানে একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড এবং সব্জি বাজার খুবই দরকার। দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করে আসছেন স্থানীয়রা। সেই দাবিকেই এবার ভোটের ইস্যু করছে বিরোধীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহমদপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন রেলের জায়গাতেই দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে সব্জি বাজার। কিন্তু এই বাজারের জন্য রাস্তায় ব্যাপক যানজট হয়। সমস্যায় পড়েন ট্রেনযাত্রীরা। রেল একাধিকবার এই জায়গা খালি করার উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে অন্য একটি জায়গায় বাজারটি সরিয়েও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে বেচাকেনা হচ্ছিল না বলে বিক্রেতারা এই এলাকাতেই ফিরে আসেন। অন্যদিকে আহমদপুর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যান ট্রেন ধরেন। সিউড়ি ও লাভপুরের দিক থেকে বহু মানুষ আসেন ট্রেন ধরতে। কিন্তু কোনও স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড না থাকায় স্টেশনের ওভার ব্রিজের কাছেই বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করান চালকরা। তার জেরেও রাস্তায় যানজট হয় বলে অভিযোগ। সাঁইথিয়া-১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সোমনাথ সাধু বলেন, এখানে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড ও সব্জি বাজার করার জন্য একটি প্রপোজাল দেওয়া হয়েছে সাংসদ ও বিধায়কের কাছে।
