ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
স্বভাবতই তীব্র গরমে জেলা শহর ও বিভিন্ন ব্লক এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন অনেকখানি ব্যাহত হয়েছে। সকাল ৯-১০টার মধ্যেই শহরতলি এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলেছেন। দুপুরে রাস্তায় লোক যাতায়াত অনেকটাই কম লক্ষ্য করা গিয়েছে।
অন্যদিকে, এই তীব্র দাবদাহ ও গরম পরিবেশের জন্য বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়েছে। এই নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে সাধারণ মানুষের জন্য লিফলেট প্রচারের মাধ্যমে জোর কদমে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে প্রখর রোদে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হচ্ছে। রোদে বেরতে হলে ছাতা অথবা কাপড়ে মুখ ঢেকে সকালের দিকে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলার আবেদন জানানো হচ্ছে। সচেতনার জন্য বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় এএনএম ও আশাকর্মীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সচেতনতার কাজ করছেন। স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষকে ওআরএস প্যাকেট সংগ্রহ করতে বলা হচ্ছে। বাড়ির বাইরে বেরলে সঙ্গে জল, ওআরএস রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তীব্র তাপপ্রবাহে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চটজলদি তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তির জন্য জেলার সমস্ত গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ঝাড়গ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে ২৫টি ইমারজেন্সি বেডের বন্দোবস্ত করেছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। এরমধ্যে বাতানুকূল পরিবেশের মধ্যে তিনটি ও বাকি বেডগুলিতে কুলিং স্পট তৈরি করে ফ্যান চালিয়ে ঠান্ডা পরিবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।বেলপাহাড়ী এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সদর বা বাজার বাজার এলাকায় সকালের দিকে সবাই কাজ সেরে ফেলছেন। কিন্তু গ্রামীণ মানুষ যাঁরা জঙ্গলের পাতা তুলছেন বা গরু-ছাগল নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন, তাঁদেরকে রোদেই থাকতে হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, তীব্র দাবদাহের জন্য ১৫-২০ দিন আগে থেকেই আমাদের স্বাস্থ্য ও আশাকর্মীরা এলাকার মানুষের সঙ্গে সচেতনতা প্রচারের কাজ শুরু করেছেন। লিফলেট প্রচার করেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়া ৯টি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২টি করে ১৮টি ও জেলা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ মিলে ২৫টি ইমারজেন্সি বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গরমে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের তাড়াতাড়ি ভর্তি করতেই এই উদ্যোগ। এর মধ্যে তিনটি বেড বাতানুকুল পরিবেশে রয়েছে। বাকি বেডগুলি ফ্যানের সাহায্যে কুলিং স্পট তৈরি করে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে এই বেডে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পর তাঁকে জেনারেল ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।