ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
গলসির পুরষার বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, তীব্র গরম ঠিকই। তবু আমাদের দিদি মমতাকে একবার সামনে থেকে দেখার জন্য এসেছি। উনি আমাদের ঘরের মেয়ে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় সংসার চলছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করার এক মাস পর থেকেই প্রতি মাসে টাকা ঢুকছে। আদিবাসী মহিলা সোনামণি টুডু বলেন, দিদি আমাদের জন্য এত প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। দিদিকে একবার সামনে থেকে দেখব বলে এসেছি। কলেজ পড়ুয়া তসলিমা পারভিন বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী সহ একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের মহিলারা নিয়মিত সুবিধা পাচ্ছেন। সেকারণে মহিলাদের ভিড় বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।
মহিলাদের পাশাপাশি এদিন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সভায় হাজির হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দেন। গলসির ভুঁড়ির বাসিন্দা হারাধন বাগদি বলেন, গতবার এখান থেকে বিজেপির আলুওয়ালিয়া জিতেছিলেন। কিন্তু ভোটে জেতার পর এলাকায় তাঁকে দেখাই যায়নি। করোনার সময় এলাকার কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি। গতবার বিজেপির যে হাওয়া ছিল এবার তা নেই। এবার আমাদের দলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ জয়ী হবেন। পারাজের নীলমণি ঘোষ বলেন, বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ কুরুচিকর ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। তাই মানুষ ওঁকে পছন্দ করে না। আমরা সিপিএমের সময় দেখেছি। ওরা গরিবের দল বলে নিজেদের প্রচার করত। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র গরিবের কথা ভাবে। আর এক কর্মী শ্রীকান্ত বাগদি বলেন, তৃণমূলের আমলেই আমাদের এলাকায় রাস্তার কাজ, পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়েছে।
তৃণমূল সমর্থক আইসক্রিম বিক্রেতা গলসির ঘাগরার বাসিন্দা গোলাম মোল্লাও এদিন সভায় হাজির হয়েছিলেন। তিনি বলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আমি তৃণমূলের সমর্থক। এদিন সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। দু’টো টাকা আয়ও হল। আবার দিদির বক্তব্যও শুনলাম। সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা ছিল। দলীয় কর্মীদের পানীয় জল পেতে কোনও সমস্যা হয়নি। বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, ভয় দেখিয়ে, জোর করেও একশ্রেণির মানুষকে সভায় আনা হয়েছে। এর আগেও উনি বুদবুদে সভা করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটে সঠিকভাবে গণনা করতে দেননি। মানুষ আমাদের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।