ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ওইদিন সন্ধ্যার পর বিজেপি নেতা তথা ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট গুটিকয়েক কর্মী নিয়ে নিজেই বীরসিংহে পোস্টার সাঁটাতে বেরিয়ে পড়েন। এ-ফোর সাইজের কম্পিউটার থেকে সাদা-কালো কালিতে প্রিন্ট করা পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, ‘প্রদীপের নীচেই অন্ধকার। বিদ্যাসাগরের পুণ্যভূমি অন্ধকারে থাকবে কেন দীপক অধিকারী জবাব দাও।’ এবং ‘বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্বে থেকে বীরসিংহবাসীর কোনও উন্নয়ন হল না কেন দীপক অধিকারী জবাব দাও।’ দেবকে আক্রমণ করে এই ধরনের বেশ কয়েকটি পোস্টার বীরসিংহের বিভিন্ন এলাকায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে ‘বিজেপি ঘাটাল’। শীতলবাবু বলেন, দেব বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান। অথচ বীরসিংহের উন্নয়ন করার বিষয়ে দেব উদাসীন। এনিয়ে তাঁর কোনও পরিকল্পনা নেই। বিদ্যাসাগরকে নিয়ে দেবের এই উদাসীনতা তুলে ধরতেই আমাদের এই পোস্টারিং।
বীরসিংহের গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, শীতলবাবু মোটেই ঠিক তথ্য তুলে ধরছেন না। ২০১৯ সালে বিদ্যাসাগরের জন্মের ২০০ বর্ষপূর্তি উৎসব করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী এই এলাকার উন্নয়ন করার জন্য ‘বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ’ গঠনের পরিকল্পনা করেন। তার কিছুদিন পরেই পর্ষদ গঠিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন শুরু করে দেয়। বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্দা প্রকাশ ঘোষ বলেন, আমাদের এলাকায় রাস্তাঘাট ঝাঁ চকচকে হয়েছে। পানীয় জলের কোনও সমস্যা নেই। বীরসিংহ এবং ঘাটাল- ক্ষীরপাই রাস্তার সিংহডাঙাতে সুদৃশ্য একটি করে তোরণ হচ্ছে। বীরসিংহে একটি পার্কের কাজ শুরু হয়েছে। মোট কথা বীরসিংহবাসী হিসেবে আমরা পর্ষদের কাজে খুশি। বীরসিংহ গ্রামটি ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির অধীন। ওই পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি তথা তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক বিকাশ কর বলেন, এই ক’দিনেই পর্ষদের মাধ্যমে বীরসিংহ ও তার পার্শ্ববতী এলাকায় ৩০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। খুব শীঘ্রই আরও ১০ কোটি টাকার কাজ হবে। তাই শীতলবাবুর ওই পোস্টার নিয়ে লোকে হাসাহাসি করছেন। আসলে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, বিজেপি কোণঠাসা হচ্ছে। সেজন্যই কী করবে ভেবে উঠতে পারছে না।