ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে মতুয়ারা। কয়েক বছর আগেও মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের বলে দাবি করতে পারতেন বিজেপি নেতারা। তাঁরাই এখন মতুয়া ভোট নিয়ে ঢোক গিলছেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদেরই চোখাচোখা প্রশ্নে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের মাঝেমধ্যেই বিদ্ধ হতে হচ্ছে। এরমধ্যেই তেহট্টে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যে ছবি ধরা পড়ল, তা বিজেপির ঘুম ছুটিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে এনিয়ে দ্বিতীয়বার জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তেহট্টের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে মতুয়াদের যে উচ্ছ্বাস ছিল, তা বিজেপি শিবিরে কার্যত কম্পন ধরিয়ে দিয়েছে। আজ, শুক্রবার তেহট্টেই জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনিয়ে ভোট মরশুমে দ্বিতীয়বার আসছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় মতুয়াদের উপস্থিতি কপালে ভাঁজ ফেলছে বিজেপি নেতাদের। তাই প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও মতুয়াদের নিয়ে আসা কার্যত ‘বাধ্যতামূলক’ হয়ে দাঁড়িয়েছে পদ্ম শিবিরের কাছে।
এমনিতেই জেপি নাড্ডা হাঁসখালির সভা থেকে মতুয়াদের জন্য শব্দ খরচ না করায় বেজায় চটেছেন মতুয়ারা। তাই প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও মতুয়ারা ব্রাত্য থাকলে মাঠে মারা যাবে বিজেপির সমস্ত পরিকল্পনা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রার্থী মহুয়া মৈত্র সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে মতুয়াদের সঙ্গে নাচের তালে তালে পা মেলাতে দেখা যায়। মতুয়াদের উপস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর জনসভাকে কার্যত উৎসবে পরিণত করে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের মতুয়াগড় তেহট্ট বিধানসভায় তৃণমূল লড়াই সরাসরি বিজেপির সঙ্গে। আর এখানে মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টর।
সভা থেকে মতুয়াদের সঙ্গে পুরনো আত্মিক যোগের কথা স্মরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন যদিও তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল না বলে জানান তিনি।
মতুয়াদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের নাগরিকত্ব কাড়ার অধিকার কারও নেই। আপনারা এমনিতেই নাগরিক।’