ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরই হোয়াটস অ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু করেন ওই শিক্ষক শিক্ষিকারা। প্রথমেই প্রায় ২৫০ জন ওই গ্রুপে যোগ দেন। পরবর্তীতে আরও অনেকেই গ্রুপে যোগ দেন বলে জানা গিয়েছে। তবে পুরুলিয়া জেলায় ওই প্যানেলে থাকা কতজন শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন ওই প্যানেলে থাকা কৈলাস বাউরি নামে এক শিক্ষক বলেন, ওই প্যানেলে অযোগ্যদের বাতিল করার কথা ছিল। কিন্তু পুরো প্যানেল বাতিল করার জন্য যোগ্যরাও সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। নিজেতে চাকরি বাঁচাতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মামলা করা হবে। তিনি আরও বলেন, বহু শিক্ষক শিক্ষিকা এই কাজে যোগদানের পর সংসার শুরু করেছেন। কেউ ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন। প্রতিমাসে মোটা টাকা ইএমআই দিতে হয়। এর ফলে সবাই সমস্যায় পড়ব। বলরামপুরে লালিমতি গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা পুষ্প ঘোষাল বলেন, হাইকোর্টের রায় অমানবিক এবং অবিবেচনাকর। বহু কষ্ট করে চাকরি দেওয়ার জন্য করেছিলাম। কোনও বাঁকা পথে চাকরি পাইনি। অনেক পরিশ্রম করে অনেক পড়াশোনা করে তবেই চাকরিটা পেয়েছিলাম। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ছেলের চোখে সমস্যা রয়েছে। স্বামীও অসুস্থ। প্রতিমাসে মোটা টাকা খরচ হচ্ছে। হাইকোর্টের রায়ের ফলে এক একটা পরিবার এক একটা মানুষ কী পরিস্থিতিতে প্রতিটা মুহূর্ত কাটাচ্ছে তা বিবেচনা করা উচিত ছিল। তাছাড়া ৪২ বছর বয়সে এসে ফের যদি পরীক্ষা দিতে বলে তা কী করে আর সম্ভব। কে পারবে এভাবে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে।