ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা তো বটেই, মহিশুরা, স্বরূপগঞ্জ, ফকিরডাঙা-ঘোলাপাড়া, রুইপুকুর ইত্যাদি পঞ্চায়েতের গ্রামবাসীদেরও যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে নবদ্বীপ ব্লক অফিস, পঞ্চায়েত অফিস, মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালেও যেতে হয়। সেইসঙ্গে ভাগীরথী বিদ্যাপীঠ, পানশিলা গার্লস হাইস্কুল সহ আশপাশের বেশকিছু স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়ারাও যাতায়াত করেন। রাস্তাটির পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে হেঁটেও যাতায়াত সম্ভব নয়। বৃষ্টি হলেই রাস্তার বেশকিছু অংশে জল জমে যায়। তখন সাইকেল, টোটো, মোটর সাইকেলের চাকার বেশ কিছুটা অংশ ডুবে যায়। বিশেষ করে মাজদিয়া পূর্ব পাড়া, পশ্চিমপাড়া এবং মুকুন্দপুর গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সামনের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা তো বটেই, মহিশুরা, স্বরূপগঞ্জ, ভালুকা, জোয়ানিয়া, ফকিরডাঙা-ঘোলাপাড়া, রুইপুকুর পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামবাসীদের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এমনকী তীর্থযাত্রীরা এই গ্রামের গাজনতলায় হেরিটেজ স্বীকৃত প্রাচীন হংসবাহন শিবমন্দির দর্শন করতে আসতে পারেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা মল্লিক বলেন, ভোট এসেছে সব দলের নেতারাই প্রচারে আসছেন বাড়িতে। কিন্তু রাস্তার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে একে অপরকেই দোষারোপ করে যাচ্ছেন।
মাজদিয়া ঘোষপাড়ার বাসিন্দা নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অর্ণব ঘোষ। তিনি বলেন, এই রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের। প্রায় আট বছর ধরে রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা। এমনকী সাংসদ জগন্নাথ সরকার কয়েকবার এ রাস্তা দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু উনি এ রাস্তার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেননি।
নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তপন মণ্ডল বলেন, প্রায় চার কিলোমিটার এই রাস্তাটি পাঁচ বছরের বেশি ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। প্রতিদিন আটটি অঞ্চলের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। ২০০৫ সালে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ আনন্দমোহন বিশ্বাসের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে রাস্তাটি তৈরি হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে রাস্তাটার বেহাল অবস্থা। তবে মাঝখানে বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহার উদ্যোগে জেলা পরিষদের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু সাংসদ জগন্নাথ সরকারের পক্ষ থেকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। যেহেতু রাস্তাটি কেন্দ্রীয় সরকারের (PMGSY) পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পের, তাই এত বড় রাস্তা পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে এ রাস্তাটা করার ক্ষমতা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তার বিষয়ে জানিয়েছি।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, আমার সাংসদ এলাকার ১৬ খানা রাস্তা এই লোকসভা কেন্দ্রে অনুমোদন করে দিয়েছি। ১৩০ কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। তার কাজ করেনি কেন? আগে তার জবাব দিন। এইসব রাস্তাগুলোর কাজ নির্বাচনের ছয়-সাত মাস আগে ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে কাজ স্তব্ধ করে রেখেছে যাতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সুনাম ছড়িয়ে না পড়ে। এই কাজ না করার জন্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে রয়েছে। যদি নিয়মের মধ্যে এই রাস্তাটি থাকে তবে অবশ্যই এই রাস্তাটি আমি করে দেব। মুকুন্দপুর বাজার মোড় থেকে ফকিরতলা মোড় পর্যন্ত এই রাস্তাটি দ্বিতীয় কিস্তিতে দেওয়া হয়েছে। প্রথম কিস্তির কাজ শেষ না হলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসবে না। এরজন্য দায়ী এই তৃণমূল সরকার।