বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রায় প্রতিদিন কোনও না কোনও রোগী ভর্তি হন, যাঁর চিকিৎসার জন্য এমআরআই করার প্রয়োজন পড়ে। সেখানে চিকিৎসকরা রোগীকে এমআরআই করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানালেও রোগীরা নিরুপায় হয়ে পড়েন পরিষেবা না থাকায়। হাসপাতালগুলিতে নিত্যদিন মস্তিষ্কে আঘাত, স্ট্রোক, টিউমার, স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। সেই সব রোগীদের সঠিক চিকিৎসার জন্য এমআরআই-এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা থাকে। কিন্তু এমআরআই পরিষেবা না থাকায় রোগ নির্ধারণ ও চিকিৎসার জন্য বিপাকে পড়তে হয় রোগী থেকে চিকিৎসকদের। খুব জরুরি ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য থাকলে রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করে এমআরআই পরীক্ষা করতে বাধ্য হন।
জেলার রামপুরহাটে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল এটি। প্রতিদিন প্রচুর রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। এছাড়া সিউড়িতে রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেখানে বীরভূম স্বাস্থ্যজেলা সহ ঝড়খণ্ডের প্রচুর রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু দুই স্বাস্থ্য জেলাতেই কোনও সরকারি হাসপাতালে নেই এমআরআই পরিষেবা। কিছুদিন আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকেও রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রককে এই জেলার সরকারি হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালুর জন্য চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।
সিউড়ি হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় সৌম্যজিৎ সাহা বলেন, আমাদের বাড়ি রাজনগর ব্লকের একটি গ্রামে। একদিন আগে বাবাকে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বাবার স্ট্রোক হয়েছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসাও চলছে। এখন বাবা অনেকটা ভালো আছেন। কিন্তু এমআরআই পরিষেবা থাকলে আমরা রোগের বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে পারতাম। বাবা আরও কিছুটা সুস্থ হলে দুর্গাপুরে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে বা বর্ধমানে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে একবার এমআরআই করিয়ে নেব। আমাদের জেলায় এই পরিষেবা চালু করলে মানুষের অনেক উপকার হবে।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, আমাদের জেলার কোনও সরকারি হাসপাতালেই এমআরআই পরিষেবা নেই। রোগীরা দরকার পড়লে বেসরকারি হাসপাতালে করান, অথবা বর্ধমান যেতে হয়। তবে আমাদের জেলায় এই পরিষেবা চালু হলে অবশ্যই ভালো হবে রোগীদের।