সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ঝাড়গ্রাম জেলায় এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হাতির হানা। হাতির হানায় শুধু ফসল নষ্ট হয় না, মানুষের জীবনও চলে যায়। ঝাড়গ্রাম ডিভিশন এলাকায় গত এক বছরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধান ও মরশুমি সব্জির। বিশেষ করে সাপধরা, গড় শালবনী, মানিকপাড়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। তবে চাষিরা নিয়ম মাফিক ক্ষতিপূরণও পেয়েছেন। ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ার বাসিন্দা সুদেব মণ্ডল বলেন, ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা পেয়েছি। এই টাকা পেয়ে খুবই উপকার হয়েছে। ফের বীজ কিনে চাষ করছি। হাতিদের নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দরকার।
গত অর্থবর্ষে শুধু ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের এলাকায় হাতির হানায় ২৬৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বনদপ্তরের তরফে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
মেদিনীপুর ও খড়্গপুর ডিভিশনেও অনেক চাষিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ফসল নষ্টের বহু আবেদন জমা পড়েছে। ধাপে ধাপে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করলে ক্ষতিগ্রস্ত সকলে টাকা পাবেন।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল-বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখেছিলেন ঝাড়গ্রামের মানুষ। মাত্র ১২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির কুনার হেমব্রম। এবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা দখলে রাখতে গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু করেছে তারা। বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, হাতির তাণ্ডবে মানুষ খুব সমস্যায় আছেন। তৃণমূল সরকার সেই সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। খুব কম মানুষ ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন।
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, মানুষের সমস্যায় রাজ্য সরকার সবসময় পাশে থাকে। সেই তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। সিপিএমের আমলে ক্ষতিপূরণই দেওয়া হতো না। এখন মানুষ বিপদে পড়ে আবেদন করলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। মানুষ উভয় সরকারের পার্থক্যটা বুঝতে পারছে। তাই আমাদের সঙ্গেই থাকবে।