বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এদিন সকাল থেকে চুঁচুড়ায় ভিড় জমান। তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে শোভাযাত্রা করে জেলাশাসকের দপ্তরে যান। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়, দলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী, চন্দ্রকোণার বিধায়ক অরূপ ধারা, মেহেবুব রহমান, মানস মজুমদারের মতো প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সমর্থকরা জয়ধ্বনি দিতে দিতে শোভাযাত্রায় পথ হাঁটেন। দুপুর ২টোয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
রামেন্দুবাবু বলেন, সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা-কর্মীরা এদিন শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সমর্থকরা উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে শোভাযাত্রায় হাঁটেন। জয়ের বিষয়ে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।
গোঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, দল মিতালি বাগকে নানা দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি নীরবে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। তাঁর জীবন যাত্রায়, আচার আচরণে সাধারণ ঘরের মেয়ের ছাপ স্পষ্ট। এদিনও প্রথমে মঠে পুজো দিতে যান। তারপর নমিনেশন জমা দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ এসব দেখছে। জয় নিয়ে আমাদের কোনও সংশয় নেই।
হাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকার দাদপুর গ্রামে বাড়ি তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের। এদিন গ্রামের মেয়ের নমিনেশন ঘিরে ছিল উৎসবের আমেজ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিন অনেকেই বাড়িতে পুজো দিয়েছেন। দলবেঁধে গাড়ি ভাড়া করে চুঁচুড়া গিয়েছেন। গ্ৰামের মানুষ মিতালি বাগের লড়াইকে নিজেদের লড়াই বলে মনে করছেন।
আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগারও ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনিও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, আমাদের প্রার্থীর মনোনয়নে হাজার হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল প্রার্থীও এদিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আমরা চাই স্বচ্ছভাবে ভোট হোক। ভোটাররা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিক।