সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এ বিষয়ে বলেন, তরুণ সামন্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চললেও তিনি বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তাছাড়া তাঁকে মিছিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। হাজার হাজার কর্মীর ভিড়ে তিনি মিছিলে হেঁটেছেন। সেক্ষেত্রে আমার করার কিছু ছিল না। বিজেপি প্রার্থী যাই বলুন না কেন, সোমবার ইন্দাসে বিজেপির মিছিলে সৌমিত্রের বামদিকে একেবারে প্রথম সারিতে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে মিছিলে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। এনিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছড়ায়। তবে ধর্ষণ ও প্রতারণায় অভিযুক্ত এমনকী দল থেকে পদচ্যুত তরুণ সামন্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ থাকায় এবিষয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, বিজেপির কালচারই এমন। ওই দল নারীদের কাছে মোটেই সুরক্ষিত নয়। ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো নেতাকে ওরা বেশি সম্মান দেয়।
এবিষয়ে সিপিএমের প্রার্থী শীতল কৈবর্ত বলেন, যাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তেমন ব্যক্তিকে বিজেপি প্রার্থী মিছিলের সামনের সারিতে নিয়ে হাঁটছেন। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা স্তরের এক নেত্রী বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আগেই ওই নেত্রীকে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয় বলে তিনি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার এক সাধারণ সম্পাদক তথা পাত্রসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা তরুণ সামন্তের বিরুদ্ধে সোনামুখী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরেও অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় এবং ক্রমাগত হুমকির শিকার হয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। তাঁর মৃত্যুর পরেই মৃতার স্বামী অভিযুক্ত তরুণ সামন্তের বিরুদ্ধে সোনামুখী থানায় পুনরায় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই সোনামুখী থানা অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বিষ্ণুপুর জেলে ছিলেন। পরে তরুণবাবু আদালতে জামিন পান। তারপর কিছুদিন তাঁকে এলাকায় দেখা না গেলেও সোমবার ইন্দাসে সৌমিত্রর ভোট প্রচারে তাঁকে স্বমহিমায় দেখা যায়। প্রার্থীর বামদিকে ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়ার পরেই একেবারে সামনের সারিতে চোখে কালো চশমা ও হলুদ গেঞ্জি পরে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়। আর এনিয়েই এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়ায়। দলেরই নেত্রীকে ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল করায় মহিলা মহলেও নিন্দার ঝড় ওঠে।