সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের টিভি টাওয়ার মাঠ থেকে রামনবমী উপলক্ষ্যে বাইক মিছিল শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মিছিল। মিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন জেলা বিজেপির পদধিকারীরা। মিছিলে যোগ দেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলও। এদিনের মিছিলে বাইকের সাইলেন্সার খুলে বিকট আওয়াজ করতে থাকেন রামভক্তরা। সাইলেন্সার খোলা বাইক দাপিয়ে বেড়ায় গোটা শহর। কান ফাটানো শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন শহরবাসী। বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের অবশ্য সাফাই, ‘এটা মেদিনীপুরের মানুষের আবেগ। রামের প্রতি সন্মান জ্ঞাপন।’ যদিও শহরের বাসিন্দাদেরই একাংশের প্রশ্ন, রামের নামে উলম্ফন না করে কি রামকে সন্মান জ্ঞাপন করা যায় না? আবেগ দেখানোর জন্য, সন্মান জ্ঞাপন করার করার জন্য কি সাইলেন্সার খুলে হুজ্জুতি করতে হবে? রাম কি বলে গিয়েছেন এভাবে তাঁকে সন্মান জ্ঞাপন করা হোক?
তবে শুধু মিছিল নয়, আজ বুধবার ও বৃহস্পতিবার দু’দিন ধরে রামের পুজোও হবে। শহরের কেরানিতলায় রামপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর উদ্যোক্তা খাতায় কলমে ‘হিন্দু যুব বাহিনী’ হলেও পিছনে রয়েছে বিজেপির নেতারাই। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, ‘অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রামকে নিয়ে আমাদের সবার আবেগ রয়েছে। আশা করছি রামনবমীর মিছিলের মতো পুজোতেও বহু মানুষ যোগ দেবেন।’ তবে পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া আগেই জানিয়েছিলেন, রাম কারও একার নয়, রাম আমাদের সবার। সুতরাং রামনবমী আমরাও সবাই পালন করব। রামকে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে যাবে, আমরা চুপ করে বসে থাকব, তা হবে না।
তাই, আজ বুধবার রামনবমীর উপলক্ষ্যে শহরের গান্ধী ঘাটে নবনির্মিত রামমন্দিরে পূজার্চনার আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনে সরাসরি তৃণমূলের নাম না থাকলেও বকলমে তৃণমূল নেতারাই রয়েছেন। মেদিনীপুর শহরের তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, বুধবার রামমন্দিরে সকলের মঙ্গল কামনায় যজ্ঞ হবে। কয়েক হাজার মানুষের প্রসাদ ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে দুপুরে। রাতে বেনারস থেকে পুরোহিতরা এসে কংসাবতীর তীরে সন্ধ্যারতি করবেন। উপস্থিত থাকবেন আমাদের প্রার্থী জুন মালিয়া। শুধু তাই নয়, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার তরফে নদীবক্ষে ‘লাইট অ্যন্ড সাউন্ড’-এর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এদিন তার উদ্বোধনও করা হবে।