সংবাদদাতা, হলদিয়া: বন্দর শহরে সবচেয়ে বড় বাজেটের বাসন্তী পুজোর আয়োজন করেছে হলদিয়ার ভবানীপুর বাবাজিবাসা অগ্রগামী সঙ্ঘ। হলদিয়ার সিটিসেন্টারে অগ্রগামী সঙ্ঘের পুজোয় প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। এবছর পুজোর ৩১তম বর্ষে জমজমাট আয়োজন হয়েছে। পুজোর আকর্ষণ অষ্টমীতে অন্নপূর্ণার মহাভোগ। বাসন্তী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বার্ষিক মিলনোৎসব হয় সঙ্ঘের ময়দানে। এবার সঙ্ঘের ৪১তম মিলনোৎসবে আসছেন বাংলার নামী সঙ্গীতশিল্পীরা। অগ্রগামী সঙ্ঘের পুজো হলদিয়ায় বাবাজিবাসার পুজো নামে বেশি পরিচিত। শনিবার পঞ্চমীর সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ সুজনকুমার বালা, প্রাক্তন পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ মণ্ডল, প্রাক্তন পুর পারিষদ আজিজুল রহমান, অভিনেত্রী শ্রেয়সী চক্রবর্তী প্রমুখ। উদ্বোধনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নজর কেড়েছে সবার। সঙ্ঘের সভাপতি ও উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তপনকুমার মণ্ডল বলেন, এবার পুজো ও অনুষ্ঠানের বাজেট প্রায় ২৫লক্ষ টাকা। পুজো উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহ ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে প্রায় ৭০ফুট উঁচু এবং বিশাল মণ্ডপ হয়েছে। প্রখ্যাত শিল্পী কুশধ্বজ বেরার তৈরি প্রতিমার টানে প্রতিদিন ভিড় হচ্ছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার কর্মসূচির পাশাপাশি এবার অন্যতম আকর্ষণ সুন্দরী প্রতিযোগিতা।
সঙ্ঘের সম্পাদক প্রদ্যোত প্রামাণিক ও কার্যকরী সভাপতি কাজলকুমার দাস বলেন, এই ক্লাবের নামে একসময় হলদিয়ার নামী যাত্রাদল ছিল। এবার সেই যাত্রাদলের পুরনো কলাকুশলীদের সম্মান জানাব আমরা। এছাড়া ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। মহাষ্টমীতে ১৫হাজার ভক্তকে অন্নপূর্ণার ভোগপ্রসাদ খাওয়ানো হবে। ক্লাবের সহ সম্পাদক অশোক উত্থাসিনী বলেন, এবার বড় আকারে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হবে। ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল পরপর তিনদিন বিনামূল্যে দাঁতের চিকিৎসা, রক্ত পরীক্ষা, চক্ষু পরীক্ষা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়েছে। ক্লাব সদস্যরা একদিন নাটক পরিবেশন করবেন। এবার অষ্টমীতে গাইবেন লোকগানের শিল্পী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নবমীতে রয়েছে দেবাঞ্জনা ও সতীশ নাইট। দশমীর দিন রাত ৮টায় রয়েছে সুন্দরী প্রতিযোগিতা।