বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
ঢাকিরা জানান, একসময় শুধু বিজয় মিছিলেই ডাক আসত। তবে গত কয়েক বছরে নির্বাচনী প্রচারে ও গণনার দিনেও ডাক আসে। সব দলই তাঁদের প্রচারে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না করে যাচ্ছে।
আউশগ্রাম-২ ব্লকের মাজুরিয়া গ্রামে প্রায় ১২জন ঢাকি রয়েছে। গাজন ও অন্য ধর্মীয় উৎসবে বছরভর তাঁদের ডাক আসে। ঢাকি নেপাল দাস বলেন, গাজন ও ২৪ প্রহরব্যাপী উৎসবে চৈত্র থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত আমাদের বরাত মেলে। সারা বছরের রোজগারের অনেকটাই এই সময় হয়। দুর্গাপুজোর সময়ও এত রোজগার হয় না। গাজনে গেলে থাকা ও খাওয়া বাদে একজনের প্রায় হাজার চারেক টাকা আয় হয়।
এবছর নির্বাচন থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই ঢাকিদের প্রচারে নিয়ে যাচ্ছে। কীরকম পারিশ্রমিক মেলে? ঢাকি মঙ্গলা দাস বলেন, গত বিধানসভা ভোটেও আমাদের প্রচারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেবার যাতায়াত ও খাওয়ার খরচ বাদ দিয়ে ৮০০-১০০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল।
আউশগ্রামের অমরারগড়ের শিক্ষক শঙ্কু রায় বলেন, আমাদের ছোটবেলায় ভোটের সময় কোনও রাজনৈতিক দলের এত বর্ণাঢ্য প্রচার দেখা যেত না। তবে এখন ঢাক সহ তাসাপার্টি থাকছে। ফলে, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর কয়েকদিন ভালো রোজগার হচ্ছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীর প্রচারে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা ঢাকিদেরও ডাকা হচ্ছে।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাক বাজানোয় অনেক বদল আসছে। কাঁকসার বাসিন্দা অরূপ দত্ত বলেন, গাজনের বাজনা, আরতির বাজনা আর নির্বাচনী প্রচারের বাজনা এক নয়। প্রতিটির পৃথক ধারা বা তাল আছে। শুধু তাই নয়, আগে ছাগলের চামড়া দিয়ে তালা ছাউনি হতো। ফলে ঢাকের বোলে গাম্ভীর্য থাকত। এখন অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বাঁশের বাতার বেড়ি বাদ দিয়ে সরু ধাতুর বেড়ি, চামড়ার বাঁদির বদলে নাইলন বা প্লাস্টিকের বাঁদি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ঢাক থেকে টিন বাজানোর মতো শব্দ হচ্ছে।
বুদবুদের মাড়ো গ্রামের ঢাকি সঞ্জয় রুইদাস বলেন, গাজন, ২৪ প্রহরের সঙ্গে ভোট উৎসবের কারণে আমাদের রোজগার বাড়বে। তবে ভোট তো আর প্রতি বছর থাকে না।-নিজস্ব চিত্র