বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: ক্যানেলের ধার থেকে বের হওয়া ‘সাদা ফেনায়’ হঠাৎ ঢেকে যাচ্ছে গোটা এলাকা। বুধবার সন্ধ্যা থেকে সাদা ফেনা বের হওয়া শুরু হলেও প্রথমে এর ব্যাপকতা বোঝা যায়নি। রাতের মধ্যে ওই ফেনা জমা হয়ে প্রায় একতলা বাড়ির সমান উচ্চতায় পৌঁছয়। বর্ধমানে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মেটেল ডিভিসি এলাকায় এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় বর্ধমান থানার পুলিস। কীভাবে ওই ফেনা উৎপন্ন হল তা নিয়ে সন্দিহান পরিবেশবিদরাও। তা পরীক্ষা করার জন্য জিওলজিক্যাল বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশাসন। ফেনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে আচমকা ওই সাদা ফেনা দেখতে ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকেই পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মানুষ এসে ভিড় জমান। স্তূপাকৃতি সাদা ফেনার মতো অজানা পদার্থ দেখতে কৌতূহলী মানুষ দলে দলে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। কেউ কেউ আবার ফেনা হাতে নিয়ে পরখ করে দেখেন। অনেকে আবার পরিবারের সদস্যদের দেখানোর জন্য কিছুটা ফেনা সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যান। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ভিড় সামাল দিতে পুলিস মোতায়েন করতে হয়। কিন্তু, হঠাৎ ক্যানেল পাড় থেকে সাদা ফেনা এল কীভাবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এমনকী ওই অজানা পদার্থ ক্ষতিকারক কিনা, আদৌ তা স্পর্শ করা নিরাপদ কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি। অতি উৎসাহী অনেকেই এই ফেনা হাতে নিয়ে দেখছেন। গায়ে লাগলে এর থেকে কোনও ক্ষতি হবে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ মাঝি বলেন, এরকম জিনিস আগে দেখিনি। প্রথমে অল্প থাকলেও ক্রমশ বেড়ে গিয়ে পাহাড় সমান উঁচু হয়ে যায়। অপর এক বাসিন্দা রাজেশ মোল্লা বলেন, কোনও গন্ধ নেই। কী এই পদার্থ তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। তা নাহলে এই পদার্থ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন, হঠাৎ কীভাবে এত ফেনা তৈরি হল, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল তৈরি হয়। মহকুমা শাসক এব্যাপারে এক্সপার্টদের সাহায্য নিচ্ছেন।
বর্ধমান সদর(উত্তর) মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, জিওলজিক্যাল বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা সহ-উপাচার্য আশিস কুমার পাণিগ্রাহী বলেন, মাটির তলায় বিভিন্ন গ্যাস থাকে। বৃষ্টির ফলে মাটি নরম হয়ে ভিতরে জল চলে যায়। অনেক সময় খনি ও খনি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রচুর মিথেন গ্যাস থাকতে পারে। সেই গ্যাসের সংস্পর্শে জল এলে অনেক সময়ই গ্যাঁজলা উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে ওরকম কিছু হতে পারে। তবে এই ফ্যানা স্পর্শ না করাই ভালো।
পরিবেশবিদ তথা নদী বিশেষজ্ঞ অপূর্বরতন ঘোষ বলেন, দূষিত বা বর্জ্য জলের মধ্যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে অনেক সময় এই ধরনের ফেনা হয়। যদি ক্যানেল বা নদীর পাশে আইসক্রিম বা সাবান ফ্যাক্টরি থাকে তাহলেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। ফেনাল বা ফ্যাটি অ্যাসিড জলে মিশে ফেনার সৃষ্টি হয়। এটি কী কারণে হয়েছে, খতিয়ে দেখতে হবে।
এদিকে আচমকা ওই সাদা ফেনা দেখতে ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকেই পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মানুষ এসে ভিড় জমান। স্তূপাকৃতি সাদা ফেনার মতো অজানা পদার্থ দেখতে কৌতূহলী মানুষ দলে দলে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। কেউ কেউ আবার ফেনা হাতে নিয়ে পরখ করে দেখেন। অনেকে আবার পরিবারের সদস্যদের দেখানোর জন্য কিছুটা ফেনা সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যান। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ভিড় সামাল দিতে পুলিস মোতায়েন করতে হয়। কিন্তু, হঠাৎ ক্যানেল পাড় থেকে সাদা ফেনা এল কীভাবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এমনকী ওই অজানা পদার্থ ক্ষতিকারক কিনা, আদৌ তা স্পর্শ করা নিরাপদ কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি। অতি উৎসাহী অনেকেই এই ফেনা হাতে নিয়ে দেখছেন। গায়ে লাগলে এর থেকে কোনও ক্ষতি হবে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ মাঝি বলেন, এরকম জিনিস আগে দেখিনি। প্রথমে অল্প থাকলেও ক্রমশ বেড়ে গিয়ে পাহাড় সমান উঁচু হয়ে যায়। অপর এক বাসিন্দা রাজেশ মোল্লা বলেন, কোনও গন্ধ নেই। কী এই পদার্থ তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। তা নাহলে এই পদার্থ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন, হঠাৎ কীভাবে এত ফেনা তৈরি হল, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল তৈরি হয়। মহকুমা শাসক এব্যাপারে এক্সপার্টদের সাহায্য নিচ্ছেন।
বর্ধমান সদর(উত্তর) মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, জিওলজিক্যাল বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা সহ-উপাচার্য আশিস কুমার পাণিগ্রাহী বলেন, মাটির তলায় বিভিন্ন গ্যাস থাকে। বৃষ্টির ফলে মাটি নরম হয়ে ভিতরে জল চলে যায়। অনেক সময় খনি ও খনি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রচুর মিথেন গ্যাস থাকতে পারে। সেই গ্যাসের সংস্পর্শে জল এলে অনেক সময়ই গ্যাঁজলা উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে ওরকম কিছু হতে পারে। তবে এই ফ্যানা স্পর্শ না করাই ভালো।
পরিবেশবিদ তথা নদী বিশেষজ্ঞ অপূর্বরতন ঘোষ বলেন, দূষিত বা বর্জ্য জলের মধ্যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে অনেক সময় এই ধরনের ফেনা হয়। যদি ক্যানেল বা নদীর পাশে আইসক্রিম বা সাবান ফ্যাক্টরি থাকে তাহলেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। ফেনাল বা ফ্যাটি অ্যাসিড জলে মিশে ফেনার সৃষ্টি হয়। এটি কী কারণে হয়েছে, খতিয়ে দেখতে হবে।
