পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ পুরুলিয়া শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে এসে পৌঁছন অভিষেক। প্রথমেই তিনি প্রার্থী সহ জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির ছ’জন নেতার সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাত এবং জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাত উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর নির্বাচন কমিটি এবং জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন। প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক চলে। বৈঠকের শেষে অভিষেক বলেন, কিছু জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সবাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে শপথ নিয়েছে একসঙ্গে কাজ করার। পুরুলিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল এবার ভালো হবে। গত পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হলেও তৃণমূলের ফলাফল ভালো হয়েছে। লোকসভা ভোটও সেই রকমই হবে। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, বিজেপির এক নেতা গত সোমবার বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছিল। ওইদিন আমার ঘরে রেকি করতে এসে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আবার ওইদিনই আদালতে ২৫ হাজার জনের প্যানেল বাতিল হয়েছে। দু’টোর মধ্যে কোন বিস্ফোরণের কথা ওই বিজেপি নেতা বলেছিলেন, তা তিনি বলতে পারবেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে রঘুনাথপুর-২ ব্লকের দলের দু’জন পদাধিকারীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে জানান অভিষেক। ওই দুই পদাধিকারী একে অপরের বিরুদ্ধে রাজ্যে অভিযোগ জানিয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা একসঙ্গে চলতে না পারলে দলের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অভিষেক। এদিনের বৈঠকেই পুরুলিয়া শহরের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ প্রায় পাঁচজনের বক্তব্য শোনেন অভিষেক। অনেকেই হলের ভিতরে একসঙ্গে চলার কথা বললেও তাঁরা বাইরে একসঙ্গে চলেন না, এই রিপোর্টও দলের কাছে রয়েছে বলে তিনি স্পষ্ট করে দেন। পুরসভা ভোটে ফলাফল ভালো হলেও লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে পুরুলিয়া শহরে খারাপ ফলাফল কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে তিনি জানান। জিতে থাকা ওয়ার্ডে খারাপ ফলাফল হলে কাউন্সিলার এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন। ঝালদা শহরেও চেয়ারম্যান এবং শহর সভাপতির মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন। মানবাজার-১, ঝালদা-২, পুঞ্চা, আড়ষা, হুড়া সহ বিভিন্ন ব্লকে নিজেদের মধ্যে বিভেদ মিটিয়ে দ্রুত এক সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।