পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোটারদের লাইন দেখভাল করতে হচ্ছে রাজ্য পুলিসকে। ধাপে ধাপে যেসব জেলায় নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে গোলমাল এড়াতে অন্যান্য জেলা থেকে পুলিসকর্মীদের নিয়ে আসা হচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সভা-সমাবেশেও ডিউটি করতে হচ্ছে রাজ্য পুলিসকে। একেবারে ভোর থেকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে উর্দিধারীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোদের তেজ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে। এই অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে ডিউটি করছেন পুলিসকর্মীরা। কোথাও দু’দণ্ড বসা তো দূরের কথা, বেশিরভাগ সময় মাথার উপর গনগনে সূর্য নিয়েই ডিউটি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এর ফলশ্রুতিতে ঘটে যাচ্ছে হিট স্ট্রোক, অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো ঘটনা। মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছেন অনেকে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পুলিসকর্তাদের। প্রশ্ন উঠেছে, ভোট গ্রহণের মাত্র দু’পর্বেই যদি নিচুতলার পুলিসকর্মীদের এই অবস্থা হয়, তাহলে গোটা ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে আরও কী হতে পারে! সেক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে পড়ার সংখ্যাও বাড়বে। পাশাপাশি, এক জেলা
থেকে অন্য জেলায় যেতেও রীতিমতো ধকল পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখেই রাজ্য পুলিসের স্টেট ওয়েলফেয়ার কমিটির তরফে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রোটেশন পদ্ধতিতে ডিউটি হলে পুলিসকর্মীদের উপর বাড়তি চাপ পড়বে না। তাঁরা কিছুটা বিশ্রামও পাবেন। তরতাজা হয়েই তাঁরা পরবর্তী ডিউটিতে যোগ দিতে পারবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, এই প্রস্তাব কীভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তার জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে।