বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রামপুরহাট পুরসভার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহরে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার ৫০০। তার মধ্যে ১৮বছরের ঊর্ধ্বে ৪০হাজার মানুষকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। সেইমতো শুরু থেকেই পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অনুষ্ঠান ভবনে রোজই শিবির করে টিকাকরণ চলছে। এছাড়া, বস্তি সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিশেষ শিবির করে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগে পুরসভা থেকে আধারকার্ড দেখে কুপন সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
পুরসভা থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত একশো শতাংশ মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ ও ৪৮শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। তারপরও পুরসভা থেকে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে দেড় হাজারের বেশি প্রথম ডোজ চাওয়া হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে এখনও শহরের বেশকিছু মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পাননি, সেখানে একশো শতাংশ মানুষ কীভাবে টিকা পেলেন? যেখানে আধারকার্ড যাচাই করে কুপন বিলির মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেখানে এত মানুষ কোথা থেকে এসে টিকার প্রথম ডোজ নিলেন?
যদিও পুরসভা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ভিড়ের মধ্যে কারা এসেছেন, কে প্রতিষেধক নিয়েছেন সেটা তো বলা সম্ভব নয়। শহরবাসীকে কুপন দেওয়া হয়েছিল। তারপর কে কুপন নিয়ে টিকা নিয়েছেন কী করে বলব?
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রায় দেড় হাজারেরও কিছু বেশি মানুষ এখনও টিকা পাননি। বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলিয়ে প্রায় ৬৭জন প্রতিবন্ধী মানুষও এখনও টিকা পাননি। অনেকের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় চলে এলেও প্রথম ডোজ নেওয়ার কোনও মেসেজ পাননি।
যদিও পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য আব্বাস হোসেন বলেন, সরকারি গাইড লাইন মেনে প্রথম দিকে ভোটকর্মী ও সুপার স্প্রেডাররা প্রতিষেধক নিয়েছেন। পরে শপিং মল, ওষুধের দোকান, হোমের আবাসিক, ব্যাঙ্ক ও এলআইসির সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এঁদের একটি রড় অংশ শহরের বাইরের বাসিন্দা। তাতেই ভ্যাকসিন পাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, এখনও শহরের প্রায় দেড় হাজার মানুষ টিকা পাননি। বিষয়টি স্বাস্থ্যদপ্তরে জানানো হয়েছে। তাঁদেরও টিকা দেওয়া হবে। প্রতিবন্ধীদের বাড়ি থেকে গাড়িতে ভ্যাকসিন সেন্টারে এনে টিকা দিয়ে ফের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পুজোর আগেই সবাইকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। প্রথম ডোজের মেসেজ না পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে হয়তো কয়েকজন মেসেজ পাননি। তবে তাঁরা পুরসভায় যোগাযোগ করলে মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা হবে। পুরসভার এক কর্মী বলেন, অনেক সময় পোর্টালে সমস্যা থাকায় অফলাইনে কাজ করতে হয়েছে। পরে সেই তথ্য ভুলবশত পোর্টালে আপলোড না করায় এই সমস্যা হতে পারে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(৩) অসিত পাণ্ডে বলেন, রামপুরহাট পুরসভায় ১৮বছরের ঊর্ধ্বে একশো শতাংশ ভ্যাকসিন হয়েছে। বাইরের কিছু লোক নিয়েছে বলেই হয়তো একশো শতাংশের উপরে দেখাচ্ছে। পুরসভা আরও কিছু প্রথম ডোজ চেয়েছে।