বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন সকালে পুরসভা অফিসের সামনে পৃথক চারটি গাড়ির উদ্বোধন করা হয়। তাতে লেখা থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও রানাঘাট পুরসভার ব্যবস্থাপনায় মুমূর্ষু, প্রবীণ শয্যাশায়ী নাগরিকদের জন্য বাড়িতে ভ্যাকসিন। পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান শেখর মুহুরি বলেন, এর আগে মেগা ভ্যাকসিন ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা ৩০ হাজার বাসিন্দাকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়েছি। অনেকেই দাবি করেছিলেন, মুমূর্ষু ও শয্যাশায়ী নাগরিকদের জন্য বাড়িতে ব্যবস্থা করতে হবে। যে কারণে স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার আমরা বাড়িতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি নিয়েছি। আমরা মানুষের পাশে থেকে এভাবেই কাজ করতে চাই।
শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বছর পঞ্চান্নর গৃহবধূ মহাশ্বেতা মজুমদার বলেন, আমি অসুস্থ। যে কারণে এতদিন ভ্যাকসিন নিতে পারিনি। কিন্তু এদিন পুরসভার তরফে বাড়িতে এসে ভ্যাকসিন দিয়েছে। এর জন্য আমি রাজ্য সরকার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। জানা গিয়েছে, এদিন পুরসভার ১, ২, ৩, ৭, ৮, ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ জন বাসিন্দাকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ‘রানাঘাটবাসীর জন্য ৩০ হাজার ভ্যাকসিন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এজন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ’। বিজেপির রানাঘাট শহর মণ্ডলের পক্ষ থেকে এধরনের ফ্লেক্স শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে। শহরের শাসক-বিরোধী দুই দলই টিকা নিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করতে চাইছে। রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক বিজেপির পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনৈতিক নোংরামি করছে রাজ্যের শাসক দল। রানাঘাটের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ জানে মোদিজি এই ভ্যাকসিন দিয়েছেন।
যদিও পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের শেখর মুহুরি, তৃণমূল নেতা পিন্টু সরকাররা বলেন, সাধারণ মানুষ দেখেছে কীভাবে সুশৃংখলভাবে ৩০ হাজার মানুষকে মেগা ভ্যাকসিন ক্যাম্পের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি দুয়ারের সরকারের পরিবর্তে দুয়ারে ভ্যাকসিন চালুর দাবি জানিয়েছিল। রানাঘাট পুরসভা এবার দুয়ারে ভ্যাকসিন কর্মসূচি নিয়েছে। আর এতেই ব্যাকফুটে যাচ্ছে বিজেপি। যে কারণে ওরা প্রচারে আসার জন্য ওই ধরনের ফ্লেক্স লাগিয়েছে।