বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুধবার সকাল থেকেই আরামবাগের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকল ১০টার পর প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই জলে ডুবে যায় ঘোষপুর মান্না ডাঙার অস্থায়ী হেলিপ্যাড। প্রশাসনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর খানাকুলে আসা নিয়ে প্রবল উদ্বেগ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার ঘোষপুরের পরিবর্তে আরামবাগের পল্লিশ্রী হেলিপ্যাডে নামানোর তোড়জোড় শুরু হয়। প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকরা ঘোষপুর থেকে আরামবাগে ছুটে যান। প্রবল বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি জায়গায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। ঘোষপুরে আসা জেলা ও মহকুমার প্রথম সারির তৃণমূল নেতারাও আরামবাগের পল্লিশ্রী হেলিপ্যাডের দিকে রওনা হন। দুপুরের দিকে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে আসছেন না। বাতিল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বন্যা কবলিত খানাকুল পরিদর্শনের কর্মসূচি।
হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ত্রাণ শিবিরে থাকা বেশ কয়েকজনকে জানিয়েছি, মনখারাপ করার কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আসতে না পারলেও শুক্রবার তিনি আসতে পারেন। মৌখিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী এটা আমাকে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের ত্রাণ সংক্রান্ত সবরকম সহযোগিতা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সফর বাতিল হলেও মুখ্যমন্ত্রীর আগামী সফর ঘিরে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সফর এদিন স্থগিত হলেও কয়েকদিনের মধ্যে তিনি এখানে আসতে পারেন। তারজন্য আমরা সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখছি। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে আবহাওয়া কেমন থাকবে, সেটার উপর।