বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সেচদপ্তরের তমলুক ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, মঙ্গলবারও ব্যারেজ থেকে ২২হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। গত চারদিন ধরে পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদীতে জলস্তর বিপদসীমার উপর বইছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি।
বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে পাঁশকুড়া ব্লক প্রশাসন ও পুরসভা। ইতিমধ্যে বেশকিছু স্কুলের রিক্যুইজিশন করে রাখা হয়েছে। টানা পাঁচদিন পাঁশকুড়া পুরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গোপালপুরের ডোমপাড়ার ৮০টি পরিবার ৬নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ত্রিপল খাটিয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পাঁশকুড়া এলাকায় বৃষ্টি হয়। তাতে ওইসব দুর্গতদের বাড়ি ফেরা আরও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলার তথা জেলা যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি শেখ সমীরুদ্দিন বলেন, নদীর পাড়ে বেশকিছু পরিবার বসবাস করে। ২৮জুলাই থেকে তাঁদের অন্যত্র সরাতে হয়েছে। এখন ফের বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ল।
পাঁশকুড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কংসাবতী নদী লাগোয়া নস্করদিঘি, জানাবাড় এখনও পুরোপুরি জলমগ্ন। ওই এলাকায় গাঁদা, গোলাপ, মোরগঝুটি প্রভৃতি ফুলচাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও সাঁকটিকরি, উত্তরপলসা প্রভৃতি গ্রামের চাষের জমি জলমগ্ন থাকায় সব্জি, আমন ধানের বীজতলা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কমলা সানিগ্রাহী জানান। পাঁশকুড়ার ঘোষপুর পঞ্চায়েত এলাকার একদিক কংসাবতী আর একদিকে ক্ষীরাই নদী। টানা চার-পাঁচদিন ওই পঞ্চায়েতের সাত-আটটি গ্রাম জলমগ্ন। এখনও রাস্তার উপর জল জমে আছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তাহেসান মল্লিক বলেন, নদীতে জল বের করার জন্য লকগেট আছে। কিন্তু, কংসাবতী নদীর জলস্তর অনেক বেশি। এখন লকগেট খুলে দিলে নদীর জল ভিতরে ঢুকে যাবে। তাই লকগেট ফেলে রাখতে হয়েছে। যেকারণে বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। আমরা নিরুপায় হয়ে রয়েছি।
পাঁশকুড়া ব্লকের হাউর, চৈতন্যপুর-১ ও ২, রাধাবল্লভচক ও প্রতাপপুর-২, মাইসোরার কিছু মৌজা এখনও জলমগ্ন। ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া অব্যাহত। যেকারণে কংসাবতীতে জলস্তর বিপদসীমার উপর। সেজন্য নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টির জল ওইসব মৌজায় আটকে রয়েছে। পাঁশকুড়ায় ফুল, সব্জি চাষ সবচেয়ে বেশি। এখন জল জমে ফুল, সব্জি এবং আমনের বীজতলা ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি পাঁশকুড়া পুরসভাতেও জলযন্ত্রণা অব্যাহত। পুরসভার ৮, ৯ এবং ১০নম্বর ওয়ার্ডে বেশকিছু জায়গায় এখনও জল জমে রয়েছে। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষজন।