বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ মার্চ দুপুর ৩টা নাগাদ সারেঙ্গার ফতেডাঙা গ্রামের ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক থেকে একটি শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তার কিছু পরেই আস্ত ট্যাঙ্কটি তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। গ্রামের অনেকেই সেই ভয়াবহ দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ঘটনা নিয়ে সেইসময় রাজনৈতিক চাপানউতোরও হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি জলের ট্যাঙ্কের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলে। যদিও প্রশাসনের তরফে সেইসময় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তর সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে একটি এজেন্সির মাধ্যমে ওই ওভারহেড জলের ট্যাঙ্কটি নির্মিত হয়। গত বছর তা হঠাৎই ভেঙে পড়ে। তবে ট্যাঙ্ক ভেঙে গেলেও কংসাবতী নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে তা পাইপ লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছিল। এবার সেখানেই নতুন করে ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক নির্মাণ হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের বাঁকুড়া জেলার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যে সারেঙ্গার ওই গ্রামে নতুন করে ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। ওই সংস্থা তাদের নিজেদের খরচেই ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করছে। ভোটের আগে মাটির নীচের কাজ শুরু করা হলেও এখন করোনার জেরে তার কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। এবছই ওই ট্যাঙ্ক থেকে জলের সরবরাহ হতে পারে। জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর সূত্রে খবর, ওই গ্রামের সংশ্লিষ্ট অংশে ফের মাটি পরীক্ষা করা হয়। তারসঙ্গে দপ্তরের তরফে ট্যাঙ্ক নির্মাণের নকশাও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেইমতো কাজ হবে। আগেরটির মতোই নবনির্মিত ট্যাঙ্কটির জলধারণ ক্ষমতা থাকবে সাত লক্ষ লিটার। তবে গঠনশৈলীতে কিছুটা বদল আনা হয়েছে। দপ্তরের দাবি, ট্যাঙ্ক ভেঙে যাওয়ার পরদিন থেকেই ওই এলাকায় জলের সরবরাহ চালু রয়েছে।