বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন সুলেখাদেবী। সোমবার তিনি স্বামীর সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে আসেন। অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু, চিকিৎসার জন্য নূন্যতম খরচ করার সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। তাঁর স্বামী সমীর আঁকুড়ে পেশায় মোবাইলের দোকানের কর্মী। হাসপাতালে ভর্তির সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে কি না, জানতে চান চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন করেছেন দিন কয়েক আগেই। কিন্তু, কার্ড এখনও পাননি। এরপরই বিডিও-র দ্বারস্থ হন তাঁর স্বামী। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছন গলসি-২ বিডিও সঞ্জীব সেন। হাসপাতালের বেডেই ছবি তুলে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিছুটা চিন্তামুক্ত হন সমীরবাবু। তিনি বলেন, এতদিন স্বাস্থ্যসাথীর সুফলের কথা শুনে এসেছি। আজ এই কার্ড আমাদের পরিবারকে রক্ষা করল। বিডিও সাহেবকে খবর পাঠানোর পর উনি যে নিজেই চলে আসবেন, ভাবিনি। বিধায়ক অলোক কুমার মাঝিও হাসপাতালে এসে দেখা করে যান।
বিডিও বলেন, বিকেল ৫টা নাগাদ আমি খবর পাই। ওঁদের আবেদনপত্র দেখেই হাসপাতালেই কার্ড করানোর সিদ্ধান্ত নিই। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড যাঁরা করছিলেন, তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। এক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বানিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।