বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তিনি মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, উনি ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন বছরে দু’কোটি চাকরি দেবেন। কিন্তু একটাও দেননি। উনি বলেছিলেন প্রত্যেক মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে, সেটাও হয়নি। করোনা পরিস্থিতির সময় রাজ্য সরকারের ভূমিকা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, এই করোনার ভয়ঙ্কর মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বলেছিল আমি জুন মাস অব্দি বিনামূল্যে চাল দেব। এখন তিনি ঘোষণা করেছেন, তিনি যতদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন বিনামূল্যে চাল বা খাবার দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তিনমাস যেমন তেমন করে দিয়ে হাত তুলে নিয়েছেন। উনি একটা কাজই করতে পারেন, মানুষে মানুষে বিভাজন করতে পারেন, দাঙ্গা লাগাতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক প্রকল্প কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সবুজসাথী, রূপশ্রীর মতো ৭০টি প্রকল্প মানুষের জন্য তৈরি করেছেন। পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এলে এই প্রকল্পগুলি কি রাখবেন?
অনুব্রতবাবু আরও বলেন, যে করেই হোক, বাংলা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে হবে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বলেন, বিজেপিকে পগার পার করুন। আগামী নির্বাচনে ভয়ঙ্কর খেলা হবে। তবে এই ভয়ঙ্কর খেলাটি কী তা অবশ্য অনুব্রতবাবু এদিনও স্পষ্ট করে বলেননি। গত কয়েকটি জনসভায় তিনি এই ভয়ঙ্কর খেলার ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
অনুব্রতবাবু বলেন, আজ আমি খুব ভারাক্রান্ত আছি। কারণ আজকে আমার স্ত্রীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দলের প্রতি কর্তব্যের খাতিরে ও সামনে নির্বাচন আছে, তাই আমি আজকের জনসভায় এসেছি।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে তিনি প্রতিটি ব্লকে কর্মিসভা করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি জেলাজুড়ে জনসভাও শুরু করেছেন। প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতি সাহা, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য অসিত মাল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।