বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শুরুর দিন থেকেই পুরুলিয়া জেলায় আশাতীত সাফল্য মিলেছে বলে দাবি পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা নিজেরা বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে এই কর্মসূচির তদারকি করছেন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরুলিয়ায় প্রথম দু’দিনেই প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কাছে আমরা পৌঁছতে পেরেছি। কারও সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করা হয়েছে। কাউকে আবার কীভাবে ওই সমস্যার সমাধান এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দু’দিনের যেটুকু হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে প্রায় ২০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পরের ধাপের ক্যাম্পে তাঁদের প্রত্যেকের আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানানো হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেও সমাধান করা হচ্ছে।
জেলাশাসক আরও বলেন, বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া পুরসভার ওয়ার্ডের ক্যাম্পগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। প্রতিটি জায়গাতেই ছিল লম্বা লাইন। একাধিক জায়গায় ক্যাম্পে কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় ব্লক এলাকায় ২০টি এবং শহরাঞ্চলে পাঁচটি জায়গায় ক্যাম্প শুরু করা হয়েছে। লোকশিল্পীদের মাধ্যমে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। কোথাও ছৌনাচ, কোথাও আদিবাসী নাচ, কোথাও আবার ঝুমুর গানের মাধ্যমে সরকারি কোন কোন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ ওই ক্যাম্পগুলি থেকে পাবেন, তা প্রচার করা হচ্ছে। জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক পল্লব পাল বলেন, শুধুমাত্র এই কর্মসূচিতেই পুরুলিয়া জেলার প্রায় দেড় হাজার লোকশিল্পী কাজ করবেন।
জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ লকডাউন ও করোনা আবহে জেলার লোকশিল্পীদের অনেকেই কার্যত কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন।
সরকারি এই কর্মসূচিতে কাজের সুযোগ পেয়ে লোকশিল্পীরাও খুশি। সেই সঙ্গে লোকশিল্পীদের মাধ্যমে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির বিষয়ে অনেক বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে। শুধু মাইকিং করে এবং প্রশাসনিক স্তরে প্রচার করে যা সম্ভব ছিল না। একই সঙ্গে একাধিক জায়গায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। অনেকেই দীর্ঘ সময় লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন করছেন। সেই সঙ্গে কেউ জানাচ্ছেন রেশন কার্ডের সমস্যা, কেউ আবার একাধিকবার সরকারি প্রকল্পে আবেদন করেও কেন তা পাননি জানতে ছুটছেন ক্যাম্পগুলিতে। একাধিক জায়গায় আবেদনের দিনই জাতিগত শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের আধিকারিকদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যাম্পগুলিতে কর্মরত আধিকারিক ও কর্মীরা সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে অনেক বেশি আন্তরিক। অফিসে গেলে অনেকসময়ই ওই আন্তরিকতা দেখা যায় না।