বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জঙ্গলমহলে মাওবাদী অধ্যুষিত পাঁচ থানা এলাকায় লাগানো প্রায় ৫০০টি ক্যামেরার উপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে জেলা পুলিস। এছাড়া বাঁকুড়ার সঙ্গে ওই পাঁচ থানা এলাকায় পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা এলাকাগুলিতে ২৪ ঘণ্টা নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনের আগে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা যাতে কোনওভাবেই ফের প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সেই বিষয়ে সজাগ রয়েছে পুলিস।
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, বাঁকুড়ায় নতুন করে মাওবাদীদের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তারা বিভিন্ন গণ সংগঠনের আড়ালে জঙ্গলমহলে ঢোকে। তাই এই ধরনের সংগঠনগুলির উপর আমরা নজর রাখছি। ১৬টি কন্ট্রোলরুম থেকে প্রায় ৫০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চলছে। পাশাপাশি জেলার সীমান্ত এলাকায় নাকাচেকিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বাম আমলে বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহকুমার সারেঙ্গা, সিমলাপাল, রাইপুর, রানিবাঁধ ও বারিকুল থানা এলাকায় মাওবাদীরা তাদের সংগঠন বিস্তার করেছিল। কিন্তু, রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলের যে সমস্ত মানুষ মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন। রাজ্য সরকার তাঁদের আর্থিক প্যাকেজ ও চাকরির ব্যবস্থা করে। তার জেরে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর বাঁকুড়া জেলায় মাওবাদীদের অস্তিত্বের সেভাবে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও জেলার জঙ্গলমহলে দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঝিলিমিলি ও সারেঙসাকড়ায় মোতায়েন রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়মিত বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ, এরিয়া ডমিনেশনের কাজ করছে ও নজরদারি চালাচ্ছে। এছাড়াও সারেঙ্গা, সিমলাপাল, রাইপুর, রানিবাঁধ ও বারিকুল থানা এলাকার জঙ্গলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে প্রায় ৫০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে জেলা পুলিস। যা ১৬টি কন্ট্রোলরুম থেকে নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে।
গত ২১ নভেম্বর সারেঙ্গা বাজারে কয়েকটি মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়। যদিও তা মাওবাদীদের নয় বলে দাবি করে জেলা পুলিস। তবে সম্প্রতি পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার ও সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা এলাকায় মাওবাদীদের একটি স্কোয়ার্ডের সক্রিয়তা জেলা পুলিসের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
সূত্রের খবর, ওই স্কোয়ার্ডের নেতৃত্বে রয়েছেন বাম আমলে জঙ্গলমহলে দাপিয়ে বেড়ানো জবা মাহাত ও আকাশরা। তারা ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ার কয়েকটি থানা এলাকায় নতুন করে লিঙ্কম্যান তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের একটি অংশ গণ সংগঠনকে ঢাল করে বারিকুল ও সারেঙ্গা এলাকায় ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য বান্দোয়ানের সঙ্গে জেলার সীমান্ত এলাকা, রাইপুর, গোয়ালতোড় ও সারেঙ্গা বর্ডারে মোট ১৩টি পয়েন্টে দিনরাত নাকাচেকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিস।