বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন পথসভা মঞ্চে অবশ্য দলীয় ব্যানার কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ছবি ছিল না। দাদার অনুগামী টিমের পক্ষ থেকেই গোটা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। হেঁড়িয়া থেকে কামারদা যাওয়ার রাস্তার দু’দিকে শুভেন্দু অধিকারীর কয়েকশো কাট আউট লাগানো হয়েছিল। তার মধ্যে কিছু কাট আউটে তৃণমূল কংগ্রেসের জোড়া ফুল প্রতীকও ছিল। জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম বলে তিনি ভাষণ শেষ করেন। এদিনের কর্মসূচিতে খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল, কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, দলের জেলা মুখপাত্র মধুরিমা মণ্ডল প্রমুখ অংশ নিয়েছিলেন।
পদযাত্রায় অংশ নেওয়া স্থানীয় বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল বলেন, প্রতি বছরই তৃণমূলের ব্যানারে আমরা এই কর্মসূচি নিই। এদিন বাঁশগোড়া থেকে কামারদা পর্যন্ত দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। আমাদের মাথার উপর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি দু’বারের বিধায়ক, সেটা নেত্রীর সৌজন্যেই। আবার শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে খেজুরি হার্মাদমুক্ত হতো না। এটাও আমরা অস্বীকার করতে পারি না। নন্দীগ্রামে যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাকে রক্ষা করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
এদিন বাঁশগোড়া থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। তার আগে উপস্থিত প্রত্যেককে কাঁচা ছোলা ও বাতাসা দেওয়া হয়। সকাল ১১টার কিছু পর শুভেন্দুবাবু বাঁশগোড়ায় এসে পৌঁছলে পদযাত্রা শুরু হয়। কামারদা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পদযাত্রা শেষে পথসভা হয়। শুভেন্দুবাবু বলেন, ২০১০ সালের পর থেকে প্রত্যেক বছর আমরা ২৪ নভেম্বর দিনটি পালন করি। কারণ, ২০১০ সালের আগে খেজুরিতে গণতন্ত্র ছিল না। নিজের ধান কেউ নিজে তুলতে পারতেন না। পুকুরে বিষ দিয়ে দেওয়া হতো। ঘরছাড়া, বয়কট, জরিমানা সহ নানা ধরনের মধ্যযুগীয় বর্বরতার সম্মুখীন হয়েছেন আপনারা। খেজুরিতে অনেকেই শহিদ হয়েছেন। খেজুরিকে ব্যবহার করেই নন্দীগ্রামকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। শুনিয়ার চরে দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে। ২৪ নভেম্বর ৩০০ বন্দুকবাজ খেজুরি দখল করে নিয়েছিল। প্রবল গুলিবর্ষণে আপনারা এগতে পারছিলেন না। বাঁশগোড়ায় ফিরে যেতে হয়েছিল। বেলা ১২টা নাগাদ আমি কামারদায় হার্মাদদের সামনে এসেছিলাম। টেবিলের উপর থ্রি নট থ্রি বন্দুক। হার্মাদবাহিনীর নেতারা আমাকে দেখে হতচকিত হয়ে গিয়েছিল। মনের জোর নিয়ে ওদের তাড়া করেছিলাম। আধ ঘণ্টা পর পিল পিল করে জনতা আমাকে সঙ্গ দিয়েছিল। বেলা আড়াইটা নাগাদ দেউলপোতা হয়ে ওড়িশা ক্যানেল পেরিয়ে হার্মাদ বাহিনী শুনিয়ার চরে আশ্রয় নিয়েছিল। খেজুরি হার্মাদমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি ফিরে আসে। এই শান্তি, ব্যক্তি স্বাধীনতা খেজুরিতে চিরস্থায়ী হোক, এই প্রার্থনা করি।