বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুজো কমিটির প্রধান শ্যামসুন্দর দাস মণ্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠীর দিন সকাল ১১টায় দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী সরাসরি এই পুজো মণ্ডপ দেখবেন। ওই মুহূর্তেই আমরা পুজো মণ্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ব্যবস্থা রাখছি। স্বাভাবিকভাবেই এই সর্বজনীন মণ্ডপটি এবার আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে।
পুজো কমিটির কর্মকর্তা বলেন, ‘বাঁকুড়ার গান্ধী’ বলে খ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী গোবিন্দপ্রসাদ সিংহ, বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, শিশুরাম মণ্ডল, মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায়, ভূতনাথ ভট্টাচার্যের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহরের সম্পন্ন ব্যক্তিরা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন।
বাঁকুড়া শহরের সুভাষ রোডের একটি ভগ্নপ্রায় বাড়িতে প্রথম পুজো শুরু হয়। পরবর্তীকালে রানিগঞ্জের মোড়ে এক কবিরাজি ঔষধের দোকানে, দোলতলা রাসমঞ্চের আট চালাতে, বীর সাভারকার সরণীর দেশবন্ধু ব্যায়ামাগারে, নতুনগঞ্জ ধর্মশালা, বাসন্তী সিনেমা হল, চণ্ডীদাস সিনেমা হল প্রাঙ্গণ, টাউন বয়েজ হাইস্কুল, এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হল প্রাঙ্গণ, এইভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পুজোৱ আয়োজন করা হতো। স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবিদ্যালয় মাঠে ১৯৫১ সাল থেকে স্থায়ীভাবে পুজো হয়ে আসছে। বস্তুতপক্ষে এই পুজো শহরের প্রথম সর্বজনীন পুজো হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করে।
ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে জয়লাভের লক্ষ্যে দেবীর আরাধনার পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একটা লক্ষ্য ছিল, সমাজের অস্পৃশ্যতা দূর করা এবং সেই লক্ষ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করা। অস্পৃশ্যতা দূর করার লক্ষ্যে নিম্নবর্গের মানুষদেৱ দিয়ে দেবী দুর্গার ঘট আনা হতো এবং দীর্ঘকাল সেই ধারা বজায় ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পুজো চলার পর কেউ পুজোর ভার নিতে এগিয়ে না আসায় ২২ বছর ধরে বর্তমান পরিচালন কমিটি এই পুজোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়।
বাঁকুড়ার বিজেপি সংসদ সদস্য সুভাষ সরকার বলেন, ষষ্ঠীর দিন রাজ্যের ১০টি পুজোমণ্ডপ প্রধানমন্ত্রী সরাসরি দেখবেন। একই সঙ্গে রাজ্যের মানুষের জন্য শারদীয়ার শুভেচ্ছাবার্তা দেবেন। তার মধ্যে বাঁকুড়ার বঙ্গবিদ্যালয় মাঠের সর্বজনীন পুজোটি থাকছে।