বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গোটা পৃথিবীজুড়েই এখন করোনা আতঙ্ক। দেশের সঙ্গে রাজ্যেও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ আছে। শিক্ষাদপ্তর জানিয়েছে, আগস্ট মাসের পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই দাসপুর-১ ব্লকের ওই হাই স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ায় অনেকেই এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, ছাত্রদের অভিভাবকরা স্কুলের সিদ্ধান্তে খুশি।
স্কুলের এক ছাত্রীর বাবা শক্তি মাজি বলেন, সেই মার্চ মাস থেকে বাড়িতে বসে বসে মেয়ে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। পড়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। সেজন্যই বারবার আমি প্রধান শিক্ষককে স্কুল চালু করার কথা বলেছিলাম। নিতাই হাজরা এবং সুবল দুয়ারী নামে অন্য দুই অভিভাবক বলেন, ছেলেমেয়েরা হাটবাজার সহ সব জায়গাতেই যাচ্ছে। খেলাধুলাও বন্ধ নেই। তাহলে স্কুল যেতে সমস্যা কোথায়? বরং স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুশাসনে ওরা সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে বাধ্য হবে। সেই কারণেই শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার কথা বলেছিলাম। আমাদের অনুরোধ রাখায় আমরা খুশি।
প্রধান শিক্ষক বলেন, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক আমাকে লিখিতভাবে এব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন, কেবল তাঁদের বাড়ির ছাত্রছাত্রীদেরই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের নয়।
এদিন দুপুর ১২টা থেকে স্কুল চালু হয়। স্কুলের দশম শ্রেণীতে মোট ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তার মধ্যে এদিন এক তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রী স্কুলে এসেছিল। প্রত্যেকের মুখেই ছিল মাস্ক। ব্যাগে ছিল স্যানিটাইজার। ছাত্রছাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে ঢুকছে কি না, তা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দেখা হয়। তাছাড়া স্কুলে ঢোকার আগে প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজারও দিয়ে দেওয়া হয়। একটি বেঞ্চে একজন পড়ুয়াকে বসানো হয়েছিল। ৫২ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য দু’টি ক্লাসরুম ব্যবহার করা হয়। এদিন মোট তিনটি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা যে এদিন থেকে ক্লাস নিচ্ছি, এখবর সমস্ত ছাত্রছাত্রী পায়নি। আশা করছি, বৃহস্পতিবার থেকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে, কোনওভাবেই একই বেঞ্চে একজনের বেশি ছাত্রকে বসতে দেওয়া হবে না। দশম শ্রেণীতে ভালো সাড়া পেলে কয়েক দিনের মধ্যে নবম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাসও শুরু হবে।
প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর স্কুলে আসতে পেরে খুশি ছাত্রছাত্রীরাও। তারা বলে, বাড়িতে পড়ায় মন বসছিল না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্কুল খোলায় যেন প্রাণ ফিরে পেলাম।