বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কৃষ্ণনগর সদরের মহকুমা শাসক মনীশ ভার্মা বলেন, চাপড়ায় একটি সেফ হোম করা হয়েছে। সেখানে সকলকে রাখা হচ্ছে। চিকিৎসা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থানা স্যানিটাইজ করে যাবতীয় কাজ হবে।
কৃষ্ণনগর জেলার পুলিস সুপার জাফর আজমল কিদওয়াই বলেন, একের পর এক থানা করোনার গ্রাসে পড়ছে। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের। সংক্রমণ যাতে বেশি ছড়ায়, তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পুলিসের পক্ষে তো আর অফিসে থেকে কাজ করা সম্ভব নয়।
চাপড়া বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও কিছু পুলিস কর্মীর রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে। ফলে চিন্তা থাকছেই। বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা। এই সমস্ত পুলিস কর্মীর সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা যথেষ্ট চাপের বিষয়। তাও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর এবং বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে তাঁদের চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে নদীয়া জেলায় একদিনে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন। একদিনে ১১২ জনের করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চাপড়ায় ২১ জন, চাকদহ পুরসভায় ১৭ জন, চাকদহ ব্লকে ১০জন, কুপার্স ক্যাম্পে ৬ জন, কালীগঞ্জে একজন, কল্যাণী পুরসভায় ৩জন, করিমপুর-১ ব্লকে ৬জন, কৃষ্ণনগর পুরসভায় ৫ জন, কৃষ্ণনগর-১ ব্লকে ৩জন, কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে একজন, নবদ্বীপ ব্লকে ১৩ জন, রানাঘাট পুরসভায় ৪জন, রানাঘাট-১ ব্লকে ১৫ জন, রানাঘাট-২ ব্লকে ৩জন, শান্তিপুর ব্লকে একজন, শান্তিপুর পুরসভায় দু’জন, তেহট্ট-২ ব্লকে একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে অনেকেই করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে থেকে লড়ছেন। পুলিস ছাড়াও রয়েছেন নার্স, চিকিৎসক, জেলাশাসকের অফিসের কর্মী। জেলায় মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪৫১। কৃষ্ণনগরের ১, ৫, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। রানাঘাট পুরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা একজন পুলিস কর্মী এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পুরসভার একজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত। তাছাড়াও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আরও ২জন আক্রান্ত হয়েছেন। কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী এবং তাঁর স্বামী আক্রান্ত হয়েছেন।
রানাঘাট-১ ব্লকের কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর পঞ্চায়েত এলাকার ১০ জন সহ হবিবপুর, রামনগর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি রানাঘাট-২ ব্লকের যুগলকিশোর, আড়ংঘাটা এবং দত্তপুলিয়া পঞ্চায়েতে করোনা আক্রান্তদের খোঁজ মিলেছে। নবদ্বীপ ব্লকের মায়াপুর-বামনপুকুর-১ নম্বর পঞ্চায়েতের মোল্লাপাড়া মাঝেরপাড়া ও বল্লালদিঘি দাস পাড়ায় আক্রান্ত রয়েছেন। তবে করোনা যোদ্ধাদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।