বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আরামবাগের এসডিও নৃপেন্দ্র সিং বলেন, একশ্রেণীর মানুষ শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অযথা সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে, তাঁদের মনে আতঙ্ক তৈরি করছে। মহামারীর মতো পরিস্থিতিতেও নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রশাসনিক কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জনবহুল এলাকা থেকে দু’কিলোমিটার দূরে করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারের জন্য নদীর পাড়ে সরকারি জমি চিহ্নিত হয়েছিল। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের দিয়ে দেহ সৎকার করা হচ্ছিল। কিন্তু সেখানেও গুজবের কারণে সাধারণ মানুষ বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, মৃতদেহ দু’-তিন দিন ধরে আরামবাগের মর্গে রাখা থাকছে। তারপর শেষকৃত্য করা হচ্ছে। সুতরাং সাধারণ মানুষের অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁরাও আমাদের সহনাগরিক, এটা ভুলে গেলে চলবে না। এখন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারাও করোনা নিয়ে সচেতনতায় জোর দিচ্ছেন। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে প্রচার চলছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, করোনা ভাইরাস ড্রপলেট ও ফোমাইড দু’ভাবে ছড়ায়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির থুতু, সর্দি, কাশি(ড্রপলেট) যদি কোনও সুস্থ ব্যক্তির মুখ, নাক ও চোখের মাধ্যমে তাঁর শরীরে প্রবেশ করে, তবেই তিনি করোনা আক্রান্ত হবেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির থুতু বা হাঁচি, কাশি যদি কোনও ধাতব বস্তুতে লেগে থাকে, তা কোনও সুস্থ ব্যক্তি স্পর্শ করে যদি চোখ-মুখ বা নাকে হাত দেন, তবে তিনিও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে ড্রপলেট ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তাই তাঁর সংস্পর্শ থেকে ভাইরাস সংক্রমণও সম্ভব নয়।