বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শিল্পীদের দুর্বিষহ পরিস্থিতি নিয়ে ‘কৃষ্ণনগর সিঞ্চন’ এর নাট্যকর্মীরা আগে শর্ট ফিল্ম ‘হতোস্মি’ তৈরি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এরপর সোশ্যাল মিডিয়াকেই বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সিঞ্চনের পক্ষে নাট্যকার ও নির্দেশক সুশান্তকুমার হালদার বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের তিনটি একক অণুনাটক প্রকাশ করা হয়। আশা করছি, সকলের ভালো লাগবে। তিনি আরও বলেন, করোনা অতিমারীতে দূরত্ববিধি মেনে কীভাবে নাট্যচর্চা সম্ভব, তা আজ সারা বিশ্বের নাট্যকর্মীদের ভাবাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরাও বিকল্প পথ খুঁজছি। বিকল্প প্ল্যাটফর্ম, সমকালীন বিষয়বস্তু নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এই নাটক সেই বিকল্প পথের অনুসন্ধান। একইসঙ্গে কলম্বিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, এবং ভারতবর্ষের ১৮ জন নাট্যব্যক্তিত্ব তিনটি নাটকের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছেন।
নাট্যকর্মীরা বলেন, বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ। কবে আবার সব স্বাভাবিক হবে কারও জানা নেই। সেজন্যই বিকল্প পথ খোঁজা চলছে। নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বগুলা, ধুবুলিয়া, শান্তিপুর, নবদ্বীপ, তেহট্ট, করিমপুরে বহু নাটকের দল রয়েছে। মঞ্চে অভিনয়ই বহু শিল্পীর পেশা। নাট্যকর্মীরা বলছেন, কয়েকদিন আগে আর্থিক অনটনে রানাঘাটের ছোটবাজারের নাট্যকর্মী যুবক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে উঠছে। তাই এখন নাট্যকর্মীরা চাইছেন, স্পনসর খুঁজে নাটকের জন্য টাকা জোগাড় এবং যেসমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় সম্ভব সেদিকে এগনো। তবে নাটক মিলিত একটি প্রচেষ্টা। ফলে কতদূর কী হয় তা সময় বলবে!