বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জেলার বিভিন্ন স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অনলাইনে ক্লাস করছে। মূলত শহরাঞ্চলে থাকা ছাত্রছাত্রীরাই এতে বেশি অংশগ্রহণ করছে। গ্রামীণ এলাকার পড়ুয়ারা সেভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। স্মার্টফোন না থাকা ও অনেক জায়গায় ঠিকমতো নেটওয়ার্ক না থাকায় সমস্যা হচ্ছে।
পুরুলিয়া জেলায় এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যুগ্ম আহ্বায়ক তথা চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস লায়েক বৃহস্পতিবার বলেন, অনলাইন ক্লাসে আমরা এখনও বৃহত্তর ছাত্র সমাজের কাছে পৌঁছতে পারছি না। শহরাঞ্চলে ওই ক্লাসে উপস্থিতির হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। কিন্তু, গ্রামাঞ্চলে সেই হার খুবই কম। আগামী বছর সঠিক সময়ে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হলে আমরা কীভাবে ক্লাস শেষ করব, তা বুঝতে পারছি না।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পুরুলিয়া জেলার সভাপতি সত্যকিঙ্কর মাহাত বলেন, অনলাইন ক্লাসে প্রত্যন্ত এলাকার ২০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করছে। তবে শহর এলাকায় উপস্থিতির হার তার চেয়ে একটু বেশি। এখন প্রতিটা স্কুলের শিক্ষকদের নাম ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর শিক্ষাদপ্তর নিচ্ছে। আমরা জানতে পারছি, ডিস্ট্রিক্ট রিসোর্স পার্সনদের প্রশিক্ষণ চলছে। তারা পরে আবার স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের মাধ্যমে তারা তা পূরণ করে জমা দেবে।
রঘুনাথপুরে মঙ্গলদা বিএন জে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, অনলাইনে আমাদের নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু, গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ১০ শতাংশ ছাত্র সাড়া দিচ্ছে। রঘুনাথপুর-১ ও ২, কাশীপুর, নিতুড়িয়া ব্লকের গ্রামীণ এলাকার ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়তে আসে।
বান্দোয়ানে ডি আর এ এন ঝা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার পাল জানিয়েছেন, আমাদের অনলাইন ক্লাসে প্রায় ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হচ্ছে। তবে বান্দোয়ানের জঙ্গলের মধ্যে যেসব গ্রাম রয়েছে, সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা সেভাবে অংশ নিচ্ছে না।
পুরুলিয়া জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পীযূষকান্তি বেরা বলেন, স্কুলে অনলাইন ক্লাস করাতে হবে এমন কোনও সরকারি নির্দেশিকা নেই। তারপরেও কোনও কোনও স্কুল অনলাইনে কিছু কিছু ক্লাস করাচ্ছে। আগামী দিনে যেরকম নির্দেশিকা আসবে সেভাবে ক্লাস হবে। ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের যে ইন সার্ভিস ট্রেনিং দেওয়া হয়, তা এবার অনলাইনে হবে। জেলার প্রায় দু’হাজার জন শিক্ষক নবম ও দশম শ্রেণীর ৭টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেবেন।