বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
বিডিও বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ওঁরা মাঠে আছেন বলে আগে কেউ জানাননি। কবে এসেছেন, সেটাও আমরা জানি না। এদিনই জানতে পেরেছি। জানার পরেই তাঁদের স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত রবিবার বিকেলে রাজস্থান থেকে এলাকায় ফেরেন স্থানীয় বাসিন্দা অবিনাশ সিংয়ের মেয়ে-জামাই। সঙ্গে ছিল তাঁদের দু’বছরের কন্যাসন্তান। অবিনাশবাবুর মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়ে জামাই বাড়ি ফিরছে জানতে পেরেছিল গ্রামের লোকজন। তারপরই অবিনাশবাবুকে বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়ে দেয়, কোনওভাবেই মেয়ে জামাইকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। অশান্তি এড়াতে অবিনাশবাবু মাঠে ত্রিপল খাটিয়ে মেয়ে-জামইয়ের থাকার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হন। এছাড়া আর তাঁর সামনে কোনও পথ খোলা ছিল না।
নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি রাধাকান্ত দাঁ বলেন, অবিনাশবাবুর মেয়ে জামাই করোনার পরীক্ষা করিয়েই এসেছেন। তবুও স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বাসিন্দাদের একাংশকে উস্কে তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিজেপির জেলা নেতা গৌরীশঙ্কর অধিকারী বলেন, এরকম একটা ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি ঠিক কী হয়েছে, অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
অবিনাশবাবুর মেয়ে অলোকা বলেন, আমরা রাজস্থান থেকে রবিবার বিকেলে গ্রামে আসি। এখানে এসে জানতে পারি, স্থানীয় এক বিজেপি নেতার উস্কানিতে আমার বাবার বাড়িতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমাদের বাড়িতে রাখা যাবে না। ওরা হুমকি দিয়েছে, বাড়িতে ঢুকলে মেরে হাত-পা ভেঙে গ্রাম থেকে বের করে দেবে। বাড়ি ভাঙচুর করবে। এই অবস্থায় আমরা আর বাড়ি যাওয়ার ঝুঁকি নিইনি। খুবই আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। বাবা স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে মাঠের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনদিন ওখানেই ছিলাম। রান্নাবান্না থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ সেখানেই সারতে হয়েছে। এদিন পুলিস এসে স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের আরও একটি মেয়ে বাপেরবাড়ি এসেছে। কিন্তু তাকে বাধা দেওয়া হয়নি। আমাদের ক্ষেত্রে কেন এমন করা হল বুঝতে পারছি না।