বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
যদিও প্রশাসনের দাবি, প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এখনই তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। সার্বিক সচেতনতাই করোনা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে মহৌষধির কাজ করবে। প্রশাসন সেই চেষ্টাই করছে।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাঁকুড়া জেলায় মোট ৫৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে বাঁকুড়া শহরের এক পুলিসকর্মী সহ চার জন রয়েছেন। ফলে জেলা সদর শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮ জন। নতুন করে আক্রান্তের তালিকায় খাতড়ার সাত জন, ইন্দাসের পাঁচ জন, গঙ্গাজলঘাটির ছ’জন রয়েছেন। এছাড়াও রাইপুর, সিমলাপাল, তালডাংরা, কোতুলপুরেরও বেশ কয়েকজন করে রয়েছেন।
প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও মানুষের যেন হুঁশ নেই। তাদের সচেতন করতে এবার প্রচার শুরু করেছে বাঁকুড়া পুরসভাও। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত লালবাজার, ময়রাবাঁধ এবং কেরানিবাঁধ বাজারে গিয়ে নিজের ও পাশে থাকা মানুষটির ভালোর জন্য হাতজোড় করে মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও সাধারণ মানুষ কোনওভাবেই সচেতন হচ্ছেন না। নানা অজুহাতে মাস্ক ছাড়াই গাদাগাদি করে বাজারে অযথা ভিড় করছেন। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা আগামী দিকে কঠিন হয়ে উঠবে। জেলার প্রতিটি থানা এলাকাতেই পুলিসের তরফেও সচেতনতার প্রচার চলছে।
গত কয়েকদিনে ১৪৫ জন আক্রান্ত হওয়ায় জেলায় করোনার আঁতুড়ঘর হিসাবে উঠে আসা বড়জোড়াতেও এদিন স্থানীয় ষোলআনা কমিটির তরফে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার করার আবেদন জানানো হয়। একই সঙ্গে সংক্রমণ রুখতে ২ থেকে ৫ আগষ্ট এবং ৭ ও ৮ আগষ্ট বাজার বন্ধ থাকার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বড়জোড়ায়। অবশ্য এই স্বস্তি বেশি সময়ের জন্য নয় বলে মনে করছেন বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও আধিকারিকরা।