বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত বছর এই সময় ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে পেয়ারা বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু, এবার দাম একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী-২ ব্লকের কাঁলেখাতলা, পারুলিয়া, পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বিদ্যানগর, চাঁদপুরের পাইকারি বাজারে ৩ টাকা কেজি দরে পেয়ারা বিক্রি হতে দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের কারণেই এই অবস্থা হয়েছে বলে চাষিদের দাবি।
যদিও চাষিদের দাবি মানতে চাননি পূর্ব বর্ধমান জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু ঘোড়ুই। তিনি বলেন, দাম কম হওয়ার জন্য লকডাউন কোনও ফ্যাক্টর নয়। বর্ষাকালে পেয়ারার ফলন এমনিতেই বেশি হয়। বৃষ্টির জল পেয়ে স্বাদও ভালো হয় না। এই সময় পেয়ারার আকৃতিও বড় হয় না। গ্রামাঞ্চলেই ওই পেয়ারার চাহিদা থাকে। শীতকালে ওই পেয়ারাই চার গুণ বেশি দামে বিক্রি হবে। চাষিরা আমাদের দপ্তরে যোগাযোগ করলে তাঁদের ‘থাই’ প্রজাতির পেয়ারা বসানোর প্রস্তাব দেব। শহর বা ভিন রাজ্যে ওই পেয়ারার চাহিদাই বেশি।
উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী-২ ব্লকের সরডাঙা, ধীতপুর, রানিপুর, কাঁলেখাতলা এবং পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বিদ্যানগর, রাজ্যধরপাড়া, মালতিপুর, চাঁদপুর, মাগনপুর, রাজাপুর এলাকায় উন্নত প্রজাতির পেয়ারা চাষ হয়। এইসব এলাকায় সাধারণত এলাহাবাদ ও খাজা প্রজাতির পেয়ারার বছরে তিন বার ফলন পাওয়া যায়। মাস তিনেক আগেও এই পেয়ারা ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বিদ্যানগরের এক আড়তদার বলেন, প্রতিদিন আড়তে ১০ থেকে ১৫ কুইন্টাল পেয়ারার আমদানি হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ভয়ে বাইরের কোনও ক্রেতা আসছেন না। স্থানীয় হকাররাই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ৩-৪ টাকার বেশি দাম উঠছে না। বিক্রি না হলে ফেলে দিতে হবে।
রাজ্যধরপাড়ার এক পেয়ারা চাষি বলেন, ১০ বিঘা জমিতে পেয়ারা গাছ রয়েছে। এত কম দাম কোনওদিন হয়নি। বিক্রি না হওয়া পেয়ারা গোরুকে খাইয়ে দিচ্ছি।