বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রাজ্যের মধ্যে মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র অগ্নিভ সাহা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। সে বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র। সিউড়ির শ্রীভূমি পল্লির বাসিন্দা অগ্নিভর বাবা নিখিল সাহা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। মা কল্যাণীদেবী হাইস্কুলের শিক্ষিকা। অগ্নিভ বলে, পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার আশা ছিল। কিন্তু এদিন মানসিক চাপ ছিল বলে ফল ঘোষণার সময় অন্য ঘরে বসেছিলাম। বড় হয়ে অ্যারো স্পেস ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। সেই জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছি।
অগ্নিভ পড়াশোনার ফাঁকে গোয়েন্দা গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। তবে তার দাবি, পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়া জরুরি। সে নিয়মিত স্কুলেও গিয়েছে। ক্লাসে দেওয়া নোটগুলি সে যত্ন নিয়ে পড়েছে। তাছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে সবসময় সাহায্য পেয়েছে। তবে তার এই সাফল্যের পিছনে বাবা-মায়ের পাশাপাশি শিক্ষকদের অবদান ছিল বলে সে জানিয়েছে।
তার বাবা বলেন, বিভিন্ন স্কুলের মাধ্যমিকের টেস্টের প্রশ্নপত্রগুলি এনে সেগুলি সমাধান করিয়েছি।
অন্যদিকে, ওই স্কুলেরই আরএক ছাত্র অর্চিস্মান সাহা ৬৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় সম্ভাব্য ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। তার বাবা-মা দু’জনই শিক্ষকতা করেন। সিউড়ি শহরের অরবিন্দ পল্লিতে তার বাড়ি। সে বলে, মাধ্যমিকের আগে টেস্টে ভালো ফল হয়নি। তাই চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে সারাদিনই পড়তাম। মা, বাবা সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। তাছাড়া আত্মীয় ও শিক্ষকরা সাহায্য করেছেন। বড় হয়ে মেডিক্যাল নিয়ে পড়ে গবেষণা করতে চাই।
বীরভূম জেলা স্কুলের আরএক ছাত্র রাজিবুল ইসলাম ৬৮৭ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। তার বাড়ি সিউড়ির লালকুঠিপাড়ায়। তার বাবা মদত আলি রেজিস্ট্রি অফিসে চাকরি করেন। মা সাবিনা খাতুন গৃহবধূ। রাজিবুল বলে, বরাবরই পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়েছি। মা, বাবা, স্কুলের শিক্ষকরা সবসময় পড়াশোনায় সাহায্য করেছেন। দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি। তাই চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
ওই স্কুলেরই ছাত্র অরণী চট্টোপাধ্যায় ৬৮৬ নম্বর পেয়ে সপ্তম হয়েছে। সিউড়ির সেহারা পাড়ায় তার বাড়ি। বাবা হীরক চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর অধ্যাপক। মা পাপড়িদেবী গৃহবধূ। বর্তমানে তাঁরা বোলপুরে থাকে। অরণী বলে, সারাদিনে ১০-১২ ঘণ্টা পড়েছি। পাঠ্যের পাশাপাশি সহায়িকা বইও সঙ্গে ছিল। বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চাই।
রামপুরহাট জে এল বিদ্যাভবনের ছাত্র শুভদীপ চন্দ্র মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮৬ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য সপ্তম হয়েছে। তার বাড়ি রামপুরহাটের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাঠপাড়ায়। শুভদীপ জানিয়েছে, সে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়।
দুবরাজপুরের বিকে টিপিপি প্রবীর সেনগুপ্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র জুনায়েদ হাসান ৬৮৩ নম্বর পেয়ে দশম হয়েছে। তার বাড়ি মনোহরপুরে। বাবা মোল্লা মহমদুল হাসান সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি করেন। মা নাজমিনা বেগম প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। জুনায়েদ বলে, এই রকম ফল হবে আশা করিনি। তবে পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। খেলাধুলার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই। জেলার কৃতী পড়ুয়াদের বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে এদিন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকে।