বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিকে মন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, যতদিন আপনারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকবেন, ততদিন খাবারের কোনও অসুবিধা হবে না। আমি নিজে খাবারের ব্যবস্থা করছি। দুবেলা ভাত, ডাল, সব্জি, ডিম, মাছ আর দু’বেলা টিফিন পৌঁছে দেব। খাবারের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজও রাখব।
জানা গিয়েছে, পারুলিয়া অঞ্চলের শ্যামবাটি রাধাকৃষ্ণ হাইস্কুল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিককে রাখা হয়। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। সেখানে রাখা জেনারেটর চালানোর তেলও সরবরাহ করা হয়নি। বারবার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খেতে হচ্ছিল। বুধবার এক পরিযায়ী শ্রমিক ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করে খাবার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানান। তারপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। প্রথমে ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অবস্থান জেনে নেওয়া হয়। রাতেই জেলার পুলিস মহল থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে। অভিযোগ সত্য বলে জানানো হয়। এদিন সকাল হতেই নানা ধরনের শুকনো খাবার, মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান মন্ত্রী। ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিকে তা দেওয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, রাতে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ পাই। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ওঁরা যতদিন ওখানে থাকবেন, ততদিন চার বেলা খাবার পৌঁছে দেব।
পরিযায়ী শ্রমিকরা বলেন, আমাদের বাড়িতে না পাঠিয়ে এই স্কুলে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু কেউ খাবার, পানীয় জল বা জেনারেটরের তেলের ব্যবস্থা করেনি। তাই ‘দিদিকে বলো’তে নালিশ করেছিলাম। তাতে কাজ হয়েছে। এখন সব পাচ্ছি। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এসে খোঁজ নিয়েছেন।
বিডিও বলেন, ওঁরা বাড়ির রান্না করা খাবারই খাচ্ছিলেন। খাবারের জন্য আমাদের জানালেই হতো।