পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গুপিনের বাড়ি বীরভূম জেলার নলহাটির আলমপুরে। তাই ভাই অঙ্কে এমএসসি করছেন। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। গুপিন মুর্শিদবাদের আজিমগঞ্জ ডনবসকো থেকে ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন। রামপুরহাটের জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর বীরভূম থেকেই ২০১৫ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি-টেকপাশ করেন। দু’বছর বাড়িতেই ছিলেন। ২০১৬ সালে পূর্ব বর্ধমানে গ্রুপ-ডি পদে চাকরিতে আবেদন করেন। চাকরির জন্য সরকারি সহায়তায় কলকাতায় কোচিংও নেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং পদে পরীক্ষা দেন। প্রিলিমিনারি ও মেন পরীক্ষায় পাশও করেন। তার মধ্যে ২০১৯ সালের জুন মাস বর্ধমানে ডিএম অফিসে গ্রুপ-ডি পদে চাকরি পেয়ে যান তিনি। সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং পদে তখনও ইন্টারভিউ হয়নি। গ্রুপ-ডি পদে যোগ দিয়েও ডিএম অফিসে ফাঁকা পেলেই তিনি পড়াশোনা করতেন।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে তিনি সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং পদের জন্য ইন্টারভিউয়ে ডাক পান। তিনি বিষয়টি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীকে জানান। জেলাশাসক তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। তারপর খোদ জেলাশাসক তাঁকে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য গাইড করেন। জেলাশাসক কাজের ফাঁকে তাঁকে পড়াশোনাও করাতেন। পুজোর আগেই তিনি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। গত ২৮ জুন ফলপ্রকাশ হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন গুপিন। ইন্টারভিউয়ে পাশ করার পাশাপাশি ৪০০ জনের মধ্যে তিনি ৭১ র্যা ঙ্কও করেছেন। তাঁর নিয়োগপত্রও এসে গিয়েছে। এবার কাজে দিয়ে স্বপ্নপূরণের পালা। তাঁর এই সাফল্যে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও খুশি।
গুপিন বলেন, বাবা-মা খুব কষ্ট করে মানুষ করেছেন। মা এখনও আমাদের জমিতে কাজ কবেন। তাই গ্রুপ-ডি পদে চাকরি পেয়ে ঢুকে গিয়েছিলাম। কাজের অবহেলা করেনি। কিন্তু, এই পদে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। আজ, ইচ্ছেপূরণ হয়েছে। জেলাশাসক এতবড় পদে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও তিনি আমাকে গাইড করেছেন। তিনি সহযোগিতা না করলে এই ইচ্ছেপূরণ সম্ভব হতো না। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, গুপিন খুবই ভালো ও মেধাবী ছেলে। ওর সাফল্যে আমরা সবাই খুশি।