পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলের চাল, আলুর সঙ্গে এবার ডাল ও স্যানিটাইজার দেওয়ার কথা বলা হয়। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নির্দেশিকায় শিক্ষকদের স্যানিটাইজার, ডাল কিনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে, ১৩ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, জেলা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে স্যানিটাইজার, ডাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক ছিল, ৬ তারিখ স্কুলগুলিতে চাল, আলু, ডাল ও স্যানিটাইজার বিলি করা হবে। আচমকা সেই দিনও পিছিয়ে ৯ তারিখ করা হয়। সেইমতো স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের ৯ তারিখ স্কুলে এসে স্যানিটাইজার সহ খাদ্যপণ্য নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। এদিন সকাল পর্যন্ত জেলার একাধিক স্কুলে স্যানিটাইজার ও ডাল না পৌঁছনোই চাল, আলু দেওয়াও এদিন বাতিল করে দেওয়া হয়। শালবনী খসলা ইন্দুবতী হাইস্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ৩২১ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এদিন স্কুলে স্যানিটাইজার সহ খাদ্যপণ্য দেওয়ার কথা ছিল। অভিভাবকদের আগেভাগে তা জানানো হয়েছিল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, বুধবারের মধ্যে স্যানিটাইজার, ডাল চলে এলে ভালো হতো। এদিন আমাদের বিলি করতে সুবিধা হতো। কিন্তু, তা না হওয়ায় আমরা এদিন চাল-আলু দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছি। স্যানিটাইজার, ডাল চলে আসার পর ফের একটি দিন ঠিক করে সবকিছু বিলি করব।
কেশপুর লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ৪৩০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। অভিভাবকদের আগেই এদিন খাদ্যপণ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। দুপুর পর্যন্ত স্যানিটাইজার, ডাল কিছুই আসেনি। আমার মতো এই পঞ্চায়েত এলাকায় সব স্কুলেই একই ঘটনা ঘটেছে। ফলে, বাধ্য হয়ে এদিন চাল, আলু দেওয়াও বন্ধ রেখেছি। সামনের সপ্তাহে একটি দিন ঠিক করে সবকিছু বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শালবনী কলাইমুড়ি নেতাজি সুভাষ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ১৩৭ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, এদিন পঞ্চম, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের চাল, আলু দেওয়ার কথা ছিল। নিয়ম মেনেই তাঁদের চাল, আলু দিয়েছি। অন্য একটি দিনে স্যানিটাইজার ও ডাল দিয়ে দেব। শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত হওয়া দরকার। অনেকে অভিভাবক স্কুলে এসে শুধু চাল, আলু নিয়ে ফিরে গিয়েছেন। স্যানিটাইজার, ডাল নেওয়ার জন্য ফের তাঁদের স্কুলে আসতে হবে। অযথা হয়রান হতে হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।