পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মহিষাদলের বেতকুণ্ডু অঞ্চলের প্রধান মধুমিতা হালদার এলাকার গরিব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে বঞ্চিত করে তাঁর চাকরিজীবী ভাইদের বাড়ির ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। একই অভিযোগ উঠেছে গড়কমলপুরের প্রধানের বিরুদ্ধেও। অন্যদিকে, লক্ষ্যা-১ পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের নামে ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন বলে অভিযোগ। নাটশাল-২ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ-পূর্ব শ্রীরামপুর এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য নমিতা দাস তাঁর দুই ছেলে ও নিকট আত্মীয়দের উম-পুনের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বুধবার এই অভিযোগে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় মানুষজন। অমৃতবেড়িয়া, ইটামগরা-২ সহ মহিষাদলের প্রায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই একাধিক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ ঘিরে প্রতিদিন ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে।
বেতকুণ্ডুর প্রধান বলেন, আমার তিনজন আত্মীয়ের ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম রয়েছে। এঁদের প্রত্যেকেরই মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেজন্যই এঁরা আবেদন করেছিলেন। ওই আত্মীয়দের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহিষাদল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, তিনজন প্রধান ও ৪০জন পঞ্চায়েত সদস্যকে ক্ষতিপূরণের ঘটনায় শোকজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য শোকজের জবাব দিয়েছেন। বেশ কয়েকজন গরিব পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন, যাঁদের মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মহিষাদলের বিডিও জয়ন্ত দে বলেন, ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের অনেকেই টাকা ফেরত দিয়েছেন। ২০জন ইতিমধ্যেই টাকা জমা দিয়েছেন। কে কোন দলের তা বলতে পারব না। টাকা জমা দেওয়ার আরও কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে। উম-পুনের দ্বিতীয় দফার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগে কয়েকদিনের মধ্যে তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। জনগণের বোঝার সুবিধার জন্য নতুন তালিকায় প্রাপকের গ্রামের নাম যুক্ত করা হচ্ছে।
শুধু তৃণমূল নয়, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধেও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির জেলা নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন। তাঁদের ফেরত দিতে বলা হয়েছে। তবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা শুধু নয়, ওদের বহু নেতাও ক্ষতিপূরণের টাকা লুট করেছে। এখন ধরা পড়ে গিয়ে জনগণের কাছে শোকজের নাটক করছে। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য অর্দ্ধেন্দু ঘোষাল বলেন, আমার মাটির বাড়ি ভাঙা। তাই ক্ষতিপূরণ নিয়েছি। কিন্তু দলের নির্দেশে টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।