পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিকে, এলাকায় মহিলাদের কর্মসংস্থানের জোয়ার আসার সম্ভাবনা দেখা দিতেই কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলার ফন্দি এঁটেছে অনেকে। কেউ কেউ আবার এর জন্য ভুয়ো ফর্ম ছাপিয়ে ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রিও শুরু করে দিয়েছে। ব্লক প্রশাসনের দাবি, এলাকার স্বনির্ভর দলের মহিলাদের কাজ হবে ঠিকই। কিন্তু তা সরাসরি টি-বোর্ড নিয়োগ করবে। স্থানীয় কারও হাতে কাজ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
অণ্ডালের বিডিও ঋতিক হাজরা বলেন, টি-বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে। এখানে তারা একটি প্রসেসিং কাম প্যাকেজিং ইউনিট বানাবে। দার্জিলিংয়ের চা এখানেই প্যাকেটজাত হয়ে অণ্ডাল থেকে বিমানে বিদেশে রপ্তানির বিষয়টি ভাবনায় রয়েছে। বহু মহিলার কাজ হবে।
বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে মার্কেট কমপ্লেক্সের আদলে কর্মতীর্থ তৈরি হয়। তবে, বিভিন্ন জায়গায় তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। ২০১৯ সালের প্রথমে ৪২টি স্টল ও দুটি বড় গোডাউন নিয়ে গড়ে ওঠা অণ্ডাল কর্মতীর্থেরও একই হাল। মূল বাজার থেকে একটু দূরে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই বিল্ডিং এতদিন পড়েছিল। এবার সেই কর্মতীর্থেই এলাকায় নতুন কর্মসংস্থানের দিশা দিল ব্লক প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে বিভিন্ন সরকারি চা বাগানে উৎপাদন হলেও তার বাণিজ্যিক রপ্তানির জন্য এতদিন কলকাতার উপরই নির্ভরশীল ছিল। অণ্ডালে বিমান বন্দরও রয়েছে। জাতীয় সড়কের উপর থাকা এই এলাকা থেকে সড়ক পথে কলকাতায় সামগ্রী পরিবহণ অত্যন্ত সহজ। তাই টি-বোর্ডকে তাদের ইউনিট গড়ার প্রস্তাব দেয় ব্লক প্রশাসন। পরিবহণের সুযোগের কথা বিবেচনা করে এক কথায় রাজি হয়ে যায় টি-বোর্ডও।
বিডিওর আশা, তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এই বিমান পরিষেবা চালু করতে সময় লাগবে না। কলকাতার পর দক্ষিণবঙ্গে এখানেই প্রথম এধরনের ইউনিট গড়ছে টি-বোর্ড। অণ্ডালের ক্ষেত্রে এটি গর্বের। সবচেয়ে বড় বিষয় এই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে বহু মহিলার কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত হতে চলেছে। তবে এনিয়েও কিছু রাজনৈতিক নেতার প্রশয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা লুটের প্রতারণা চক্রও গজিয়ে উঠেছে। বিডিও বলেছেন, নিয়োগ নিয়ে কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।