বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতায় স্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ খুব ধীরগতিতে চলছে। অন্যদিকে অস্থায়ী রাস্তাটি সময় মতো মেরামত না করায় নদীর জল একটু বাড়তেই তা ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। অবিলম্বে তাঁরা অস্থায়ী রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, দুই পাড়ের মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই আমরা অস্থায়ী রাস্তাটি করেছিলাম। কিন্তু আমরা সবাই জানতাম যে নদীর জল বাড়লেই সেটি ভেসে যাবে। নদীর জল কমলে অস্থায়ী রাস্তাটি মেরামত করা যায় কিনা আমরা তা খতিয়ে দেখছি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশিয়াকোল, কদমাডাঙা, মৌলাডাঙা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের পড়াশোনা, বাজারহাট থেকে শুরু করে হাসপাতালের পরিষেবার জন্য জেলা সদর শহর বাঁকুড়ায় আসতে হয়। এজন্য সতীঘাটে গন্ধেশ্বরী নদীর উপর একটি কজওয়ে ছিল। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ পরপর দু’বছর বর্ষার সময়ে জলের তোড়ে কজওয়েটি ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। এরপরেই এলাকাবাসীর অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ২০১৭ সালে বর্ষার পর প্রায় ১০ লক্ষ টাকায় অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়। ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল, বাইক ও অটো টোটো যাতায়াতের জন্য অনুমতি দেয় প্রশাসন। পাশাপাশি সতীঘাটে গন্ধেশ্বরী নদীর উপর প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৪ মিটার লম্বা ও ১৫.৫৫ মিটার চওড়া স্থায়ী সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরুও হয়েছে। কিন্তু নদীগর্ভের কিছুটা নীচেই পাথর থাকায় সেই কাজ করতে সময় লাগছে। এরই মাঝে বর্ষা নামায় কাজ প্রায় বন্ধ।
কেশিয়াকোলের বাসিন্দা অনন্ত রায় বলেন, অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে চারচাকার গাড়ি যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দিনরাত চারচাকার যানবাহন যাতায়াত করছিল। তাতে রাস্তাটি খারাপ হলেও প্রশাসন তা মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ফলে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীর জল একটু বাড়তেই সেই রাস্তা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। আমার ছেলে মেয়ে দুজনেই বাঁকুড়া শহরের স্কুলে পড়াশোনা করে। ওরা নিজেরাই এই রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে টিউশন পড়তে যেত। কিন্তু এখন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যেতে হবে।
কদমাডাঙার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত দাস বলেন, আমাদের গ্রামের অনেকেই প্রতিদিন সকালে সবজি মাথায় বা সাইকেলে নিয়ে হেঁটে বাঁকুড়ায় বিক্রি করতে যায়। কিন্তু অস্থায়ী রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন ট্রলি বা টোটো ভাড়া করে সবজি নিয়ে যেতে হবে।