বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্টেশনে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল তাঁদেরই কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, লকডাউন হঠাৎ করে শুরু হয়ে যাওয়ায় ভিনরাজ্যে চরম বিপদের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। একদিকে কাজ না থাকায় রোজগারের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে, বাড়ি ফেরার কোনও রাস্তাও ছিল না। এই অবস্থায় অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে দিনের পর দিন কাটাতে হয়েছে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর দমবন্ধ অবস্থার থেকে মুক্তি মেলে। সেই স্পেশাল ট্রেনে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। কিন্তু ফিরে এসেও সমস্যা মেটেনি। হাতে টাকা নেই। অগত্যা তাই ফের আগের জায়গাতেই ফিরে যেতে হয়েছে।
করোনার আবহে ফের ভিনরাজ্যে যেতে ভয় লাগছে না? এক যাত্রী বলেন, ভয় তো করছেই। তাই পরিবারকে বাড়িতে রেখেই ট্রেন ধরতে এসেছি। বাইরে তো বের হতেই হবে। কতদিন আর বাড়িতে বসে খাব? কথা বলতে বলতেই ট্রেনের ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় ব্যাগ নিয়ে ছুটতে শুরু করলেন তিনি।
ট্রেনটি বেরিয়ে যাওয়ার পর স্টেশনে ফের খাঁ-খাঁ অবস্থা। গোটা স্টেশনে কেবল দু’তিনটি স্টল খোলা রয়েছে। বিক্রিবাটায় এখন ভরসা কেবল দূরপাল্লার কয়েকটি ট্রেন আর রেলের কর্মীদের জন্য বিশেষ লোকাল ট্রেন। যাত্রী কমায় বিক্রিও কমেছে। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে কথা হচ্ছিল একটি স্টলের কর্মীদের সঙ্গে। তাঁরাই জানালেন, আগের ১০ ভাগের একভাগও এখন বিক্রি নেই। লোকজন বাইরের খাবার এখনও তেমন খাচ্ছেনও না। খুবই খারাপ অবস্থা।
বর্ধমান স্টেশনের বাইরে আগে বিক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকত। এখন সেসব অতীত। স্টেশনে ঢোকার পথে অস্থায়ী দোকানগুলিকে প্ল্যাস্টিক দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এইসব বিক্রেতারা এখন দোকান ছেড়ে অন্য কাজকর্ম করছেন। মাঝেমধ্যে এসে দোকান দেখে যান তাঁরা। কবে থেকে লোকাল ট্রেন চলবে, তার খোঁজখবর নিয়ে যান।