বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
লালবাগ মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। লালবাগ মহকুমার ছ’টি থানার মধ্যে ভগবানগোলা ও জিয়াগঞ্জ বাদে বাকি চারটি থানা এলাকায় করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে মুর্শিদাবাদ থানা ডাহাপাড়ায় দু’জন এবং রানিতলা থানার জীবনপুরে একজন পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। নতুন করে মুর্শিদাবাদ থানার চুনাখালি নিমতলা এবং তেঁতুলিয়া নওদাগ্রামে আরও দু’জন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ধরা পড়েছে। পাশাপাশি রানিতলা থানার জীবনপুরের আক্রান্ত যুবকের শাশুড়িও আক্রান্ত হয়েছেন। মহকুমার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, ভিনরাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ অমান্য করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে স্থানীয়দের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা শিক্ষিকা সুপর্ণা ধর বলেন, সব জায়গায় আতঙ্ক রয়েছে এমনটা নয়। যে এলাকায় করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে একমাত্র সেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। চুনাখালির বাসিন্দা সুব্রত কুণ্ডু বলেন, করোনার প্রকোপ বাড়ছে। অথচ রাস্তাঘাটে, বাজারে মানুষের ঠাসা ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। মানুষের এই বেপরোয়া এবং গাছাড়া মনোভাব বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। বুধবার রাতেই চুনাখালি নিমতলা বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক ওই যুবকের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুরো এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নওদাগ্রাম ও জীবনপুরে ঢোকা এবং বেরনো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রানিতলার বাসিন্দা ওমর শেখ বলেন, প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। বেশিরভাগ আক্রান্তের ক্ষেত্রে মাহারাষ্ট্র যোগ রয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আরও তিনটি ট্রেন জেলায় আসছে। আমরা মহকুমার বাসিন্দারা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।