বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থি বলেন, আমরা বুধবার জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, শহরে যত সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক ঢুকবেন তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর যেন দেওয়া হয়। যাতে আমরা প্রতিনিয়ত তাঁদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি। তথ্য না পেলে যে করোনা নিয়ে আমাদের কোনও দায় থাকবে না তাও চিঠিতে স্পষ্ট করা হয়েছে।
দীর্ঘ দু’মাসের লকডাউন পর্যায়েও করোনামুক্ত ছিল দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম সাজানো শহর দুর্গাপুর। দুই বৃদ্ধের করোনা সংক্রমণের খবর ছড়ালেও সেই রিপোর্ট ভুল ছিল বলে জানা যায়। যার জেরে নিশ্চিন্তে ছিলেন শহরবাসী। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য করোনা প্রবেশ করেছে দুর্গাপুরে। হেডকোয়ার্টার মোড়ে মহারাষ্ট্র ফেরত এক পরিযায়ী শ্রমিকের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। তারপর বেনাচিতির জলখাওয়া গলির বাসিন্দা বর্তমানে উত্তরপল্লিতে থাকা ভিন জেলা ফেরত যুবকের শরীরেও করোনার হদিশ মেলে। বিশেষ করে ভিন রাজ্য থেকে আসা বাসিন্দাদের দেহে এই ভাইরাস ধরা পড়ায় বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ শহরবাসী। তার উপর তথ্য আদানপ্রদানেও সমস্যা থেকে যাচ্ছে।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গিয়েছে, জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে সময়মতো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল পুরসভা কর্তৃপক্ষের মধ্যেও। সেই কারণেই এই কড়া চিঠি বলে অনেকের ধারণা। পুরসভার মতে, ভিন রাজ্য থেকে ফেরা বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ধারাবাহিক খেয়াল রাখতে হবে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদেরই। সেক্ষেত্রে সময় মতো তথ্য না পেলে বিভ্রান্তি বাড়ছে। এদিকে, প্রশাসনিক মহলে খবর পরবর্তী ক্ষেত্রে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বাংলায় ঢুকতে চলেছেন, তাই প্রথম থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে তথ্যের আদান প্রদান না হলে শেষ মুহূর্তে চাপ নেওয়া কঠিন হবে। পুরসভা চাইছে যে কোনও মূল্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে সংক্রমণ ঠেকানো।
স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য রাখী তেওয়ারি বলেন, পুলিসের পক্ষ থেকে স্থানীয় কাউন্সিলারদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে তাঁদের এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার জন্য উপযুক্ত জায়গা আছে কিনা। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যদিও জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।