বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
পিংলার জলচক এলাকার ৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক বাস ভাড়া করে মহারাষ্ট্রের ধরাবি থেকে গ্রামে ফিরছিলেন। মঙ্গলবার সকালে ওড়িশা সীমান্তে বাসের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে জোঁহাত গ্রামের সুদর্শন মণ্ডলের(৩৬) মৃত্যু হয়। মৃতদেহ নিয়েই বুধবার সকালে বাস আসে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। বাকিদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।
মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। করোনা ছিল কি না, তাও দেখা হবে। তাঁর সঙ্গে আরও যে ৩৪জন শ্রমিক ছিলেন, তাঁদের ক্ষীরাই আইটিআইয়ের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাঁরা ১৪দিন থাকবেন। বাসের চালক ও দু’জন কর্মী কেবিনে ছিলেন। তাই তাঁদের পিংলা কিষাণমান্ডিতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাসের এক কর্মী প্রথমে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে সবং থেকে ধরে আনা হয়। জেলাপরিষদের সদস্য শেখ সবেরাতি বলেন, পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এনিয়ে পিংলার দু’জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হল। সোমবারই মহারাষ্ট্র থেকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ আসে। গত ১৮ মে মহারাষ্ট্রে তিনি মারা গিয়েছিলেন।
এদিন সকালে সুদর্শনবাবুর মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী রীনা মণ্ডল সহ পরিবারের সদস্যরা। স্ত্রী বলেন, কদিন আগে ফোনে জানিয়েছিলেন, জ্বর হয়েছে। ডাক্তারও দেখিয়েছিলেন। চিকিৎসক বলেছিলেন, টনসিল বেড়েছে। সেদিন ফোনে জানিয়েছিলেন, হয়তো বাড়ি ফিরতে পারবেন না। আমরা বলেছিলাম, ফিরে এসে এখানে ডাক্তার দেখাতে। বাসে আসার সময়ও অনেক বার কথা হয়েছে। বাসে আবারও তাঁর জ্বর আসে, কাশিও হয়। একটা ওষুধ খাওয়ার পর মারা যায়। কী করে মারা গেল, কিছুই বুঝতে পারছি না।
অন্যান্য শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ধরাবি থেকে তাঁদের বাস ছাড়ে। এক শ্রমিক দিব্যেন্দু মণ্ডল বলেন, সুদর্শনের কয়েক দিন আগে জ্বর হয়েছিল। পরে সেরেও যায়। কিন্তু, বাসে করে আসার সময় সোমবার রাতে আবার তাঁর জ্বর আসে। কাশিও হচ্ছিল। তাঁকে জ্বর কমার ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। আমরা ওঁর ঘরেও খবর দিয়েছিলাম। তাঁরা বলেছিলেন, নিয়ে চলে আসতে। মঙ্গলবার সকালে সুদর্শন মারা যায়। একেই করোনার আতঙ্ক, তার উপর ২৪ ঘণ্টা মৃতদেহের সঙ্গে থাকা। বুঝতেই পারছেন, কী আর বলব। আরএক যাত্রী যাত্রী শর্মিষ্ঠা বেরা বলেন, করোনার সময় এভাবে মৃতদেহের সঙ্গে আসতে আতঙ্ক তো হবেই।