বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তিতে প্রায় ১০০টি পরিবার বসবাস করে। প্রতিটি বাড়ি টালি, অ্যাসবেসটস ও টিনের চালবিশিষ্ট। করোনা ভাইরাসের দাপটে ওই এলাকার মানুষদের পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সকলেই। তারমধ্যে রাত হলেই ইটবৃষ্টি চলায় কার্যত নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের। সোমবার রাত ২ টো নাগাদ হঠাৎই বাড়ির চালে দুমদাম করে ইটের টুকরো পড়তে শুরু করে। একের পর এক বাড়ির টালি, অ্যাসবেসটসের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জখম হওয়ার আতঙ্কে ঘরের ভিতর থেকে লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। এরপরই পুলিসে খবর দেন আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বি-জোন ফাঁড়ির পুলিস। এলাকার আশপাশে শুরু হয় তল্লাশি। কিন্তু কাউকে খুঁজে না পেয়ে সারা রাত জেগে থাকেন বাসিন্দারা। যদিও মঙ্গলবারও রাত হতেই একইরকম ইটবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবি, ওই রাতে পুলিস থাকাকালীনই লাগাতার ইটবৃষ্টি চলে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক পরিবার। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস ও স্থানীয় কাউন্সিলার।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন ধাত্রী, রেনুকা ধাত্রী বলেন, কে বা কারা এই এলাকার মানুষকে ক্ষতি করতে চাইছে জানি না। আমাদের বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। ইটের আঘাতে বাড়ির চাল ভেঙে গিয়েছে। আমরা দু’দিন ধরে রাত জেগে রাস্তায় বসে রয়েছি। পুলিস সহযোগিতা করছে। কিন্তু এই ভুতূড়ে ইটবৃষ্টি কীভাবে হচ্ছে বুঝে উঠতে পারছি না। ২০ বছর আগে একইরকম ঘটনা হয়েছিল।
স্থানীয় কাউন্সিলার মণি দাশগুপ্ত বলেন, আমি এলাকায় গিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য পুলিসকে বলেছি। দুর্গাপুর থানার ওসি রাজশেখর মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিক অনুমান, সমাজবিরোধীরা এই কাজ করছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।