অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
কিন্তু, রিপোর্ট পেন্ডিং হচ্ছে কেন? জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা শুরু হলেও খুব বেশি সংখ্যক পরীক্ষা এখানে করা যাচ্ছে না। তাই এখনও প্রতিদিন শয়ে শয়ে নমুনা কলকাতায় পাঠাতে হচ্ছে। যেমন, মঙ্গলবার মোট ১১২৫ জনের নমুনা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বর্ধমান মেডিক্যালে ৫২৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬০০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতার আরজি করে। ফলে, দু’জায়গাতেই পেন্ডিং হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা যাওয়ায় কলকাতায় পরীক্ষার অত্যধিক চাপ পড়ছে। মঙ্গলবার রাজ্য থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, নিজেদের জেলাতেই করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। তারপরই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে করোনা পরীক্ষা ল্যাবের পরিকাঠামো উন্নয়নেরও পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। যাতে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ে।
বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে রিয়েল টাইম ‘আরটিপিসিআর’ মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও পুলিং টেস্টও করা হচ্ছে। খোদ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীও বর্ধমানে টেস্ট বাড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি বুধবারই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য নতুন আরও কী কী মেশিন কিনতে হবে, কোথায় কতজন টেকনিশিয়ান লাগবে তা জানাতে। সেই মতো দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে, ভিন রাজ্য থেকে যে পরিযায়ী শ্রমিক এবং অন্যান্য যাত্রীরা জেলায় ফিরছিলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁদের সবারই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল। কারও কোনও উপসর্গ না থাকলেও তাঁদের সবার নমুনা নেওয়া হচ্ছিল। তার জেরে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণে বেশি হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু, সেই তুলনায় টেস্ট হচ্ছিল না। ফলে, হাজার হাজার রিপোর্ট পেন্ডিং হয়ে যাচ্ছে। তাই এবার থেকে ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিক সহ যাঁরাই ফিরবেন, তাঁদের উপসর্গ থাকলে তবেই নমুনা নেওয়া বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, যাঁদের কোনও উপসর্গ নেই, তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। বাড়িতে থাকাকালীন অসুস্থ হলে অথবা উপসর্গ দেখা দিলে তাঁর নমুনা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে এই মনিটারিং করবেন।
রিপোর্ট পেন্ডিং প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, রিপোর্ট পেন্ডিং যাতে না হয় সে ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পরীক্ষা বাডানোর জন্য ল্যাবের উন্নয়নও করছি। যা যা নতুন মেশিন কিনতে হবে আমরা তা কেনার ব্যবস্থা করব।