অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এদিন সকালের দিকে মন্ত্রী ঘাটাল মহকুমা এলাকায় যান। ঘাটালের টাউন হলে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে দাসপুর-১ ও ২, চন্দ্রকোণা-১ ও ২, ঘাটাল ব্লক এবং মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। পঞ্চায়েতস্তরে কাজের কী অবস্থা, তা প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের কাছে জানতে চান মন্ত্রী। উম-পুনে মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়েও খোঁজ নেন। পরে, দ্বিতীয় দফায় তিনি মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনে বৈঠক করেন। সেখানে সদর মহকুমার ছ’টি ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, খড়্গপুর মহকুমার পিংলা, ডেবরা, সবং, খড়্গপুর-১ ও ২এর বিডিও এবং সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এলাকার বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্যরাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। ১০০ দিনের কাজে এই জেলা এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যের মধ্যে চন্দ্রকোণা-১ ও ২ ব্লক শ্রমদিবসের নিরিখে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা মন্ত্রীকে জানান।
এই প্রকল্পে জেলার সাফল্যের প্রশংসা করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি আরও বেশি করে এই প্রকল্পের কাজ করার জন্য বলেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের জবকার্ড দেওয়া হচ্ছে কি না, তিনি জানতে চান। উম-পুনের জেরে কৃষি সহ বিভিন্ন দপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিও তিনি জানতে চান।
বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, মুর্শিদাবাদের পর এই জেলায় সব থেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। এখন এই শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। পঞ্চায়েত দপ্তরই সেটা করতে পারবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সেখানে স্থানীয় লোকজনই ১০০দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধ তৈরি করছেন। উম-পুনের তাণ্ডবে কেন্দ্রের সাহায্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যে যে পরিমাণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে, সেই পরিমাণ কেন্দ্রের কাছে আমরা সহযোগিতা পাইনি।
মেদিনীপুরের বৈঠকের পর সুব্রতবাবু দাঁতনে ভট্টর কলেজে গিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, মোহনপুর, দাঁতন-১ ও ২এর বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন মেদিনীপুরের বৈঠকে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, সহকারী সভাধিপতি অজিত মাইতি, জেলাশাসক রশ্মি কমল, পুলিস সুপার দীনেশ কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।